Category: Uncategorized

  • তাড়া আমাদের অফিসেই চলে আসেন

    তাড়া আমাদের অফিসেই চলে আসেন

    প্রতিদিন ই প্রায় অনেক মানুষ আসেন আমাদের কাছে। একটু খাবার এর জন্য। দ্রব্য মূল্যের এই বাজারে নিন্ম আয়ের মানুষ গুলোর জীবন অতটা সহজ নয় যতটা হয় তো আমরা ভাবি। আমাদের অফিসে এসে তাদের জীবন এর নানা কষ্টের কথা বলেন। কেউ বৃদ্ধ কাজ করতে পারেন না, কার ও স্বামী সন্তান আত্নীয় স্বজন কেউ নেই ছোট একটি বাচ্চা ছাড়া। বাচ্চার জন্য কোথাও কাজ ও করতে পাড়েন না। আবার কার ও রিকশাই ছিলো শেষ সম্বল। সেটাও নিয়ে গেছে চোর। এভাবেই তাদের কষ্টের কথা গুলো শুনে একটু ভাগাভাগি করার চেষ্টা করি সেই সকল সমস্যা গুলোর। দু’আ করবেন আমাদের জন্য। আপনাদের মানবিক সহায়তায় এমন সেবা গুলো যেনো দিতে পারি সুবিধা বঞ্চিত মানুষ গুলোর মাঝে।

    বিভিন্ন স্থানে খাবার বিতরণ

    খাবার শুধু খাবারই নয়, খাবার একটি সম্পর্ক, অধিকার, আশা। আসলে সম্পর্ক গড়ে তুলেছি এই মানুষ গুলোর সাথে খাবার এর মাধ্যমে। এই খাবার তাদের অধিকার। বিত্তশালী এবং যাদের কাছে নিজেদের প্রয়োজন এর বেশি আছে তাদের প্রতি।

    এই আশায় তাড়া থাকেন যে আল্লাহ কাউ কে না কাউ কে উছিলা বানিয়ে তাদের নিকট পাঠাবেন। তাদের এই বিশ্বাস আসলেই সত্য। এই যে আল্লাহ আপনাদের কে উছিলা বানিয়ে আমাদের মাধ্যমে খাবার পৌঁছে দেন এমন সুবিধা বঞ্চিত ঠিকানা বিহীন মানুষ ও শিশু-কিশোর গুলোর মাঝে। দু’আ ও ভালোবাসা রইলো।

    বাজার পেয়ে খুশি

    খুব খুশি হয়ে মাথায় হাত দিয়ে বলছিলো, আব্বু অনেক চিন্তায় ছিলাম এই মাসে কেমনে চলমু? জিনিস পত্রের যেই দাম কি ভাবে কিনমু। আর তোমরা আমার সেই চিন্তা দূর কইরা দিলা। আল্লাহ তোমাগোরে অনেক বড় করুক, নেক হায়াত দান করুক। আমার মত মায়েদের জন্য আরও সম্পদ দান করুক।

    এ ভাবেই মাথায় হাত বুলিয়ে বুলিয়ে আবেগময় হয়ে যান। তার সাথে আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরাও সেই ভালবাসার সুযোগটি পান। এই সুযোগ গুলো আপনাদের মাধ্যমেই গড়তে পেরেছি। কৃতজ্ঞতা রইলো আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য।

    বিরতিহীন

    এমন সকল কাজ নিয়ে দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটতে থাকি আমরা। আমাদের কোন কর্ম বিরতি নেই, নেই কোন বিশ্রাম এর সময়। এক টিম কাজ শেষ করে আসলে আরেক টিম বেড় হয়।

    এ ভাবেই চলতে থাকে আমাদের প্রথম বাংলা ফাউন্ডেশন এর চাকা।

  • কুরআনের পাখি গুলো

    কুরআনের পাখি গুলো

    খুব ভোরে ঘুম থেকে এই পাখিরা উঠে ফজরের নামাজ পড়ে কোরআন তেলাওয়াত করা শুরু করে। তার পর সবার জন্য দু’আ করে। তার পর তাদের প্রতিদিনের পড়াশোনা শুরু করে। পড়া লেখার পাশা পাশি প্রতিদিন তাদের কে নিয়ে মাশয়ারা করা হয়। তাদের পড়া লেখার অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। কারো মা নেউ আবার কারো বাবা আবার কেউ কেউ দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছে। তাদের নিয়ে ভাবার মানুষ একটু কমই আছে। তাই তো মাদ্রাসার কোরআন এর পাখি গুলোর জন্য আমাদের আয়োজন থাকে প্রতি সাপ্তাহেই। অনেক কার্যক্রমের মাঝে আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয় না। মহান সৃষ্টিকর্তা নিশ্চিত ভাবে এর উত্তম প্রতিদান সকলেই দান করবেন। আমরা শুরু করেছে বহু আগেই এখন আপনাদের অপেক্ষায় রইলাম।

    এক অসহায় মানুষের কথা

    আম্মু আমি তো ভিতরে বসতে পারমু না, হুইলচেয়ার ছাইড়া উঠতেই পারি না। এক পায়ে ভর দিয়া চলা লাগে। আমারে বাহিরেই একটু খাওন দাও, আমি এখানেই খাই। অনেক ক্ষিধা লাগছেরে মা। আর সহ্য হয় না। এই রোইদ বৃষ্টিতে সারা দিন ঘুইরা এখনো একটু খাওন ও জুটে নাই আর পারি না। কাম যে করমু সেই পথ ও নাই। হুইল চেয়ার ছাড়া চলতেই পাড়ি না। আল্লাহ ছাড়া এই দুনিয়াতে কারো উপরে ভরসা নাই।

    তিনি একটা না একটা ব্যবস্থা করেই দেন। ক্ষিধা লাগলে কাউরে না কাউরে পাঠাইয়া দেন। তোমারা আইছো আমার লাইগা আমি অনেক খুশি। আল্লাহ তোমাগো ভালো করুক। এভাবে তার কথা গুলো শুনে আমরাও চুপ করে বসে রইলাম না। উপরে ছাতা দিয়েই তার খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। পেট ভড়ে আহার করেন তিনি আর তৃপ্তি পায় আমাদের মন। অনেক ভালো লাগে এমন সেবা গুলো দিতে পেরে। যার সম্পুর্ণ কৃতিত্ব আপনাদেরই।

    আমাদের বিদ্যাপাঠ

    ইনশা আল্লাহ। আর কয়েক দিনের মধ্যে চালু হবে আমাদের আরেকটি শাখা। যেখানে পড়া-লেখা করবে সুবিধা বঞ্চিত শিশু-কিশোররা। শুধু তাই নয় এবার কোচিংও নিতে পাড়বে এই শিশু-কিশোররা। মূলত কিছু কিছু পরিবার অনেক কষ্টে সংসার চালিয়ে বাকি আয় দিয়ে ছেলে মেয়ে কে লেখা পড়া শিখান কিন্তু টিউশনের বাড়তি ব্যয় বহন করতে পারেন না। এবার আমরা নিয়ে এসেছি সেই সুযোগ টুকুও। সুবিধা বঞ্চিত পরিবারের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য এখানে রেখেছি কোচিং করার সুযোগ। নেয় কোন বেতন। বরং তাদের পড়া-লেখার অগ্রগতি ভালো হলে আপনাদের সহযোগীতায় তাদের পরিবার পাবে সাপ্তাহিক বাজার সহ নানা সেবা।

    দু’আ ও ভালোবাসা

    দু’আ করবেন আমাদের জন্য। যে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে পারি সকল বঞ্চিত শিশু কিশোরদের কাছে। আমরা চাই তাড়াও অন্য সকল ছেলে মেয়েদের মত বড় হয়ে দেশ ও দশের ভালোর জন্য কাজ করুক। নিজের সম্মান ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করুক। যেন ছোট বেলার মত বড় হয়েও তাদের জীবন না হয় দুর্বিষহ, কষ্টে জোড় জড়িত। সকলের প্রতি সম্মান শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইলো।

  • মহৎ কাজ থেমে থাকে না

    মহৎ কাজ থেমে থাকে না

    এই বৃষ্টির মধ্যেও না খেয়ে রাস্তার পাশে বসে ছিলেন একজন লোক। কাছে যেতেই আশে পাশের লোক জন বলে উঠলো, ভাই এ তো পাগল। কেনো ভাই পাগলের কি ক্ষুধা নাই? কাছে গিয়ে হাসি মুখে খাবার দিতেই বললেন ব্যথার কথা। বুকের ডান পাশে অনেক ব্যথা। আমরা তাকে খাবার ও ঔষুধ এর ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
    ।অন্য দিকে খাবার হাতে পেয়ে খুব আবেগে বলে ফেললেন, বাবা ঘরে খাওন নাই তাই এই বৃষ্টির মধ্যেও বের হইছি। কিন্তু কোনো খাওন না পাইয়া বাসার দিকে যাইতে লইছি আর তোমরা আইলা। বলতে বলতে কান্না করে দিলেন।

    কান্না এমনেতেই আসে না

    খুব কষ্টে সচারাচর আমরা কান্না করি, ঠিক তেমনি সারা দিন ঘুরে একটু খাবারও যোগাড় হয়নি এই চলাচলে অক্ষম মায়ের। এদিকে বাসায় একটি প্রতিবন্ধী মেয়ে আছে। সে এখনো কিছুই খায়নি। সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেছে।

    রাস্তার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ছুটতে ছুটতে দেখেন আমাদের খাবার বিতরণ। দেখেই কাছে এসে হাউমাউ করে কান্না করতে করতে বলেন কথা গুলো। শুনে অনেক খারাপ লাগে আমাদের। সাথে সাথে আমরাই তার হাতে খাবার প্যাক করে তুলে দেই।

    অন্ধ মানুষটি

    অন্ধ মানুষ। দুটি চোখই অন্ধ। চোখ দিয়ে পানিও পরে। তাই ডাক্তার ঔষধ দিয়েছেন আর বলেছেন দুধ ডিম সহ পুষ্টিকর খাবার খেতে। এদিকে এক বেলা খাবার যোগাতেই হাত পাত্তে হয়েছে মানুষের কাছে। অন্ধ বলে কিছুই করতে পারেন না।

    দুধ, ডিম পুষ্টিকর খাবার তো এখন কল্পনা মাত্র। আমাদের স্বেচ্ছাসেবী তার কথা শুনেই তাকে পুষ্টিকর খাবার কিনে দেন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গই অনেক বড় নেয়ামত সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে। যার যেটা নেই সেই বুঝে তার মর্ম।

    আমরা পারছি

    ঝড়, তুফান, রোদ, বৃষ্টি যাই হোক না কেনো, আমাদের কার্যক্রম এক দিনের জন্যেও বন্ধ থাকে না। কৃতজ্ঞতা রইলো আপনাদের প্রতি। এই সকল সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার ইচ্ছা আর আপনাদের সহযোগীতা না থাকলে হয় তো এত পথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব হতো না। আপনারা পাশে আছেন বলেই অসহায় মানুষ গুলোর সেবা দিতে পারছি তাদের দুঃখ কষ্ট গুলো ভাগা ভাগি করে নিতে পারছি। ভালো থাকবেন সবাই।

  • চেষ্টা করে যাচ্ছি

    চেষ্টা করে যাচ্ছি

    নানা মানুষ এর নানা রকম কষ্ট থাকে, গল্প থাকে, গভীর রাতে কান্না করার ঘটনা থাকে। আসলে আমাদের কাছে নানা সময় অসংখ্য মানুষ আসেন। এসে তাদের জীবন এর কষ্টের কথা গুলো আমাদের কাছে বলেন। আমরাও খুব আগ্রহ নিয়ে তাদের কথা গুলো শুনি ও বুঝে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার ইচ্ছায় সমাধান করার চেষ্টা করি মাত্র। তাদের কান্না জড়িত কন্ঠে বলা কথা গুলো শুনে আমাদেরও অনেক খারাপ লাগে।

    আর তাড়াও আমাদের কাছে বলে তাদের মন টাকে একটু হালকা করেন।

    আলী আকবর কাকা

    আলী আকবর কাকার শরীরটা খুবই অসুস্থ। গত সপ্তাহে রোজার বাজার নিয়ে গেছেন আজ এসেছিলেন ঈদের বাজার ও সালামি নিতে। জিজ্ঞেস করলাম এই অসুস্থ শরীর নিয়ে আসলেন কেন? আমাদের কে বললে আমরাই যেতাম। বললেন বাবা তোমাগোরে দেখতে খুব ইচ্ছা করতাছিলো, তাই এই শররীর নিয়ে নিজেই আইসা পরছি।

    একটু দেইখা যাই। এরই নাম বুঝি মায়া, মোহাব্বত, ভালোবাসা। এমন মানুষ গুলোর সারা বছরের ব্যয় বহন করছি আমরা আজ প্রায় ২/৩ বছর যাবত যা সম্ভব হচ্ছে আপনাদের সহযোগিতায়।

    কুলসুম খালা

    কুলসুম খালা। প্রায় ৩ বছরের উপরে হবে আমরা তার ব্যয় ভার বহন করে যাচ্ছি। না আছে স্বামী, না আছে কোন সন্তান। এই বৃদ্ধ বয়সে তার ব্যয় বহনের দায়িত্ব টা আপনাদের অনুদান দ্বারা নিচ্ছি। বাজার তুলে দিতেই বলে ফেলেন বাবা আল্লাহর ইচ্ছায় তোমাগো থেকে বাজার নিয়া চলতাছি। তোমরা আমারে কখনো ফেলে দিও না। কিন্তু মাঝে মধ্যে চিন্তা হয়, আর কত কাল তোমরা আমারে এই ভাবে সাহায্য করবা?

    আমরাও হেসে বললাম খালা আল্লাহ যত দিন চাইবেন আপনাদের পাশে থাকবো। সব কিছুর মালিক আল্লাহ। আপনি চিন্তা করবেন না। আল্লাহ কাউকে না কাউকে পাঠান উছিলা হিসেবে।

    আমরা চাই

    এভাবেই দিনের পর দিন, বছরের পর বছর আপনাদের অনুদানে চলমান থাকে আমাদের সকল সেবা গুলো। কখনো তাড়া আসেন আবার কখনো আমরাই চলে যাই তাদের দরজায়। এই মানুষ গুলোকে একটু ভালো রাখা টা যে আমাদের সকল এর দায়িত্ব। নিজের দায়িত্ব টুকু তে অবহেলা করতে চাইনা। আল্লাহ ভালো রাখুক এমন সকল সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ও শিশু কিশোর গুলো কে। আল্লাহ চাইলে আর আপনারা উছিলা হিসেবে পাশে থাকলে ইনশা আল্লাহ এমন মানুষ গুলোর মুখে হাসি ফুটানো সম্ভব।

  • খাবার সেবা

    খাবার সেবা

    ফোন আলাপে মাত্র দুটি বাক্যতেই সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ও শিশু-কিশোরদের জন্য আমাদের মাধ্যমে খাবারের আয়োজন করেছিলেন একজন সম্মানিত দাতা। অভাবগ্রস্থ অনাহারী মানুষ ও শিশু-কিশোরদের তার ছেলের জন্ম দিন কে তাদের মাঝে ভাগাভাগি করেছিলেন। তুলে দিয়েছিলেন তাদের হাতে খাবার। জন্ম দিন এর আনন্দ টুকু ভাগাভাগি করেছেন তাদেরর সাথে। সন্তান কে নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন আমাদের বিনা মুল্যে খাবার এর স্থানে। কথা বলেছিলেন রাস্তার পাশে থাকা শিশু কিশোরদের সাথে। আনন্দে কাটিয়েছেন কিছু মুহূর্ত। 

    জন্মদিন পালন

    সে দিন তার ছেলে জন্মদিন ছিলো, সেই উপলক্ষে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সাথে সেই দিন টা ভাগাভাগি করেছিলেন। চাইলেই নিজের আত্নীয় স্বজন নিয়ে ধুম ধাম করে, যাক জমক করে পালন করতে পারতেন এই দিন টি কে। তা না করে সময় দিয়েছিলেন বঞ্চিত শিশুদের মাঝে। হাতে তুলে নিয়েছিলেন তাদের এক বেলা আহারের দায়িত্ব টুকু। আসলে আমরা চাইলেই পারি এমন মানুষ গুলোর মুখে হাসি ফুটাতে। তাদের সাথে একটু সময় দিয়ে তাদের জীবন এর কষ্টে ভড়া গল্প টা জানতে। তা একটু ভাগাভাগি করতে।

    চাইলেই সম্ভব

    আসলে এটাই শিক্ষা ছোট বেলা থেকে দান ও সাহায্য করা দেখলে বড় হয়েও তার মধ্যে এমন গুনাবলি থাকে। মন মানসিকতা থাকে। একটা সময় নিজ উদ্যোগে পাশে দাঁড়াবে অসহায় মানুষ গুলোর। শিশুরা ছোট থেকে যা দেখে বা যা আপনি করাবেন ঠিক বড় হয়ে তাই করবে যা আপনি শিখিয়েছেন। এটাই তো মানবতা। এটাই তো আমাদের কামনা। আমরাও চাই প্রতি টি স্তর এর মানুষ অন্য আরেক জন মানুষ এর পাশে দাড়াক সাহায্য হাত নিয়ে।

    এ ভাবেই জয় হয় মানবতার আর পরাজিত হয় অনাদর, ঘৃণা আর হিংসা। 

    আসুন পাশে থাকি

    আসুন না সবাই মিলে নিজ নিজ স্থান থেকে সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ও শিশু কিশোর গুলোর পাশে থাকি। একটু নিজেদের খাবার বা যে কোন জিনিস তাদের সাথে ভাগ করি। আমাদের মাধ্যমে না হোক আপনার আশে পাশের মানুষ গুলোর জন্যে নিজের থেকে একটু ভাগ দিন। হোক সেটা খাবার, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা বা অন্য কোন কিছু দিয়ে। ভালো থাকবেন সবাই। আর দু’আ করবেন আমাদের জন্য।

  • মৌসুমি ফল বিতরন

    মৌসুমি ফল বিতরন

    সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থার পাশা পাশি আমরা করে যাই নানা সেবার আয়োজন। কখনো খাবার, কখনো বাজার, চিকিৎসা, বস্ত্র, শিক্ষা সহ নানা সেবা। সেই সকল সেবা কে সামনে রেখে আয়োজন করা হয় মৌসুমি ফলও বিতরণ। সারা দিন নানা কাজে ঘুরে বেড়ান সুবিধা বঞ্চিত মানুষ গুলো এক বেলা খাবার এর সন্ধানে। অনেকেই কষ্ট করে যোগাড় করেন এক বেলা খাবার আবার অনেকের কোপালে তাও জুটে না। যেখানে খাবার যোগাড় করাটাই যুদ্ধ সেখানে ফল মূল তো দূরের কথা। নিজেদের পুষ্টির চাহিদার কথা তো তারা ভাবেনই না। তাই সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পুষ্টির চাহিদা কথা ভেবেই এমন আয়োজন থাকে।

    বছর জুড়ে ভুগছেন

    দেশে পুষ্টিহীনতায় প্রতি বছর নানা বয়সের মানুষ অসুস্থায় ভুগেন। এর মধ্যে বেশি ক্ষতি গ্রস্ত হয় শিশু-কিশোর। নানা রোগ ব্যধি তে আক্রান্ত হন তারা। সীমিত আয়ের মানুষ গুলো চাইলেও এই উর্ধগতি বাজার মূল্যের কারনে ছেলে মেয়েদের জন্য চাইলেও ভালো খাবারের ব্যবস্থা করতে পারেন না। সুবিধা বঞ্চিত মানুষ গুলোর জন্য আমরা করতে চাই সেই ফল মূলের আয়োজন। মৌসুমি ফল সকলের জন্যই খুবই গুরুত্ব পূর্ণ। সেই ফল তুলে দিতে চাই সল্প আয়ের মানুষ গুলোর হাতে। তার সাথে যুক্ত করেছি আমারা যে এতিম খানা মাদ্রাসার সাথে জড়িত সেই মাদ্রাসার ছেলে মেয়েদের কে। সবাই মিলেই তো আমরা।

    আমাদের সম্পর্ক

    যে খাবারের মাধ্যমে সন্তানের সাথে মায়ের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়, তেমন সম্পর্ক তৈরী করে যেতে চাই সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সাথে। খাবার শুধু খাবারই নয়, সম্পর্ক তৈরী করার মাধ্যম। সেই সম্পর্ক শক্তি শালী করেছি আমরা। আমাদের কে তারা দেখলেই ভাবেন তাদের আপন জন। আমাদের জন্য অপেক্ষায় থাকেন সুবিধা বঞ্চিত মানুষ গুলো। আপনাদের সহযোগীতায় আমরা হতে চাই তাদের খুব কাছের মানুষ। আসলে বঞ্চিত মানুষ গুলোর সাথে না মিশলে তাদের কষ্ট গুলো বুঝাটা একটু কষ্টকর। তাই নিয়মিত খাবার বিতরণ, বাজার বিতরণ, ক্রয়কৃত দুধ উপহার, বিনামূল্যে খাবারের টেবল স্থাপন, ক্রয়কৃত ঔষধ বিতরণ, হুইলচেয়ার বিতরণ, বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা প্রদান, বস্ত্র উপহার, শিক্ষা সেবা সহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় আমাদের প্রকল্পে, আর তৈরী হয় নতুন নতুন সম্পর্ক।

    ভালোবাসা রইলো

    দুয়া করবেন আমাদের জন্য। এমন মহৎ কাজ গুলো যেনো সুন্দর ভাবে, সুষ্ঠ ভাবে সারা বছর পরিচালনা করে যেতে পারি। নিরবচ্ছিন্ন ভাবে সেবা গুলো পৌঁছে দিতে পারি তাদের দরজায়। সকলের জন্য সম্মান শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইলো।

  • ঘর বন্দি মানুষ গুলো

    ঘর বন্দি মানুষ গুলো

    ২/৩ দিন যাবত বৃষ্টি, ঘর থেকেই বের হওয়া যাচ্ছে না৷ সুবিধা বঞ্চিত মানুষ গুলো সারা দিন একটু কাজের বা খাবারের সন্ধানে ছুটেন রাস্তায়। বৃষ্টি জন্য এখন তাও হচ্ছে না৷ এদিকে রাতে খাবারের সময় হয়েছে। অনেক কষ্টে আপতত কিছু চাল আর আলু যোগাড় করেছে কেউ কেউ। তাই দিয়ে পান্তা ভাত আর আলুর ভর্তা নিয়ে বসেছেন খাওয়ার জন্য। কারন খালি পেটে তো আর ঘুম আসে না। ক্ষুধার জ্বালা আক্রমণ করে পেট এ, সেই জ্বালা খুবই অসহনীয়। ঠিক সেই মুহুর্তেই আমরা হাজির তাদের কে ভালো কিছু খাবার দেওয়ার জন্য। তা দেখে খুশিতে বলতে লাগলেন, আমার বাবা’রা মা’র লাইগা খাওন নিয়া আইছে। তাদের হাতে খাবার তুলে দেওয়ার মত শান্তি, তৃপ্তি হয়তো আর কিছুতে নেই।

    মায়া ভরা মুখখানা

    অন্য দিকে দিনের আয়োজন দেখা তার সাথে। অবুঝ মুখখানা। কথা বলতে পারে না শুধু অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে। মায়া ভরা মুখ, দেখলেই মায়া লাগে। এমন বাচ্চা কে ফেলে কে বা চলে যেতে পারে? বাবা চলে যাওয়ার পর মাই তার পৃথিবী। ছোট বাচ্চা সহ কেউ কাজে নেন না। বাচ্চা কে কোথাও রেখেও যেতে পারেন না। তাই অসহায় মা তার এই ছোট্ট বাচ্চা কে নিয়ে ছুটেন রাস্তায় রাস্তায় একটু খাবারের সন্ধানে। তার সাথে আজ আমাদের দুপুরের খাবারের আয়োজনে দেখা। এসে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো আমাদের দিকে। চোখ গুলো যেনে অনেক কিছু বলছে আমাদের কে। শিশু তো কি হয়েছে ক্ষুধা তো সবারই লাগে। খাবার পেয়ে তৃপ্তি মাখা মুচকি হাসি দিয়ে তার অনুভূতির জানান দিলো আমাদের কে। বুঝে নিলাম আমরা।

    আপনাদের জন্যই সম্ভব

    এই সকল ভালো কাজ গুলো করার মূল উৎসাহ পাই আমাদের দাতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য। তাদের জন্যই আমরা এত ভালো মূহুর্ত দেখতে পাই। সম্মান, শ্রদ্ধা ভালবাসা রইলো সকলের প্রতি। এ ভাবেই বছরের পর বছর খাবার, সাপ্তাহিক ও মাসিক বাজার, ক্রয়কৃত দুধ, চিকিৎসা সেবা, ক্রয়কৃত ঔষধ, বস্ত্র ও কম্বল বিতরণ, শিক্ষা সেবা দ্বারা এতিমখানা মাদ্রাসা ও স্কুলের এতিম শিক্ষার্থীদের ব্যয় বহন, ক্ষুদ্র ব্যবসা সহ নানা সেবা পরিচালনা করে যাচ্ছি আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা। কৃতজ্ঞতা রইলো আপনাদের প্রতি।

  • আবদার

    আবদার

    ভাইয়া আমার না একটু মিষ্টি ফল খাইতে মন চায়। কত দিন ফল খাই না! বাবা বেচে থাকতে কত রকমের ফল আনতো, আমরা ভাই বোন রা মজা করে খাইতাম। বাবা মারা যাওয়ার পর মায় আর পারে না। আরেক জন হাসতে হাসতে বলে উঠলো ভাইয়া আমাদেরও মন চায়। আমাদের কে মাঝে মধ্যে আপনাদের বোন হিসেবে খাওয়াইয়েন। ভাই খাওয়ালে আমরা খুব মজা করে খাবো। আমরা সবাই মিলে এক সাথে মজা করে খাবো আর পরবো, আমরা বড় হলে আপনাদের কে কিনে খাওয়াবো।

    পুষ্টির প্রয়োজন সকলেরই

    আসলে তাড়া এমন আবদার করার অধিকার রাখে আমাদের উপরে। কারন তাদের জন্যই তো আমরা আপনারা এত চেষ্টা করি, তাদের ভালো রাখার জন্যই তো আপনারা এত ভাবেন। আর সেই তাদেরই ইচ্ছে গুলো কি ভাবে অপূর্ণ রাখি। খাবারের পাশা পাশি পুষ্টির ও প্রয়োজন তাদের। পুষ্টির অভাবে অনেক শিশু কিশোর নানা রোগে ভুগছে। অনেকই হয়ে যাচ্ছে সারা জীবনের জন্য কোন এক পঙ্গুত্ব। আমাদের জীবনে মৌসুমি ফলের চাহিদা অনেক বেশি ও এতে পুষ্টি ঘাটতি পূরণ হয়। তাই তাদের আবদার গুলো আমাদের কাছে সব চাইতে জরুরি। এ জন্য যে কথা সেই কাজ পুষ্টির চাহিদার কথা মাথায় রেখে আমাদের বাচ্চাদের জন্য পুষ্টিকর ফল নিয়ে ২টি মাদ্রাসায় পাঠানো হয়।

    সাপ্তাহিক বাজার

    অন্য দিকে সুবিধা বঞ্চিত মানুষ গুলোর জন্য প্রস্তুত করা হয় সাপ্তাহিক বাজার। সেই বাজার গুলো বিতরণ করা হয় বঞ্চিত মানুষ গুলোর মাঝে। সাড়ি বদ্ধ ভাবে সাজানো হয় বাজার৷ তার পর একে একে বঞ্চিত মানুষ গুলো উপস্থিত হন সেই বাজারের ব্যাগ এর সামনে। তুলে নেন নিজ দায়িত্বে। বাধা দিবে না কেউ, না বলবে কোন কথা। চাল, ডাল, তেল, লবণ, মসলা সহ যাবতীয় উপকরণ দেওয়া আছে এই ব্যগ এ। আনন্দে বয়ে নিয়ে যাবেন নিজ ঘরে। এই একটি বাজারের ব্যাগ এ হাসি ফুটবে একটি পরিবারে। আর আসবে তাদের মনের ভেতর থেকে দু’আ।

    সকলের জন্য তাদের দু’আ

    এই দু’য়ার ভাগিদার আমরা একা নই, এর ভাগিদার সব চাইতে বেশি আপনারা।আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা, ভালোবাসা ও দু’য়ায় এভাবেই সুবিধা বঞ্চিত মানুষ গুলোর জন্য আমাদের সেবা গুলো চলমান থাকে। অর্থ সংকট থাকলেও ভালো কাজ গুলো পরিচালনা করতে চাই এভাবেই।

  • গত কয়েক বছর যাবত চলমান

    গত কয়েক বছর যাবত চলমান

    সকল শুভাকাঙ্ক্ষী ও দাতাদের পক্ষে কুরবানির ব্যবস্থা করে যাচ্ছি গত কয়েক বছর জুড়ে। সেই কার্যক্রম কে সামনে রেখে প্রতিবারেই আমরা বিশাল উদ্যোগ নিয়ে থাকি। প্রতি ঈদে কুরবানির গোশতের স্বাদ পৌঁছে দেওয়া হয় সকল সুবিধা বঞ্চিত, নিন্ম ও নিন্মবিত্ত পরিবারের গুলোর মাঝে আর ছিন্নমূল, ঠিকানা বিহীন, রাস্তা ও বস্তিতে থাকা মানুষ ও শিশু-কিশোরদের জন্য রান্না করা মাংস বিতরণ হয় ঢাকা সব দেশের বিভিন্ন জেলায়। যা চলমান থাকে ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত। গত কয়েক বছরের কুরবানির গরু ও মাংস বিতরণ এর কিছু মুহুর্ত আপনারদের জন্য। আপনার কুরবানির অংশ ভাগাভাগি করুন সুবিধা বঞ্চিত মানুষ, শিশু-কিশোর ও নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর সাথে।

    আমাদের কাজ গুলো

    সকাল সকাল আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা বের হয়েছে দূর দূরান্তে পৌঁছে দিতে আপনাদের অনুদানে ক্রয় করা কুরবানির পশুর মাংস। সেই প্রিয় মাংসের স্বাদ পাচ্ছে অসংখ্য সুবিধা বঞ্চিত পরিবার। সবাই দেখেন খাবারের বক্স আর আমরা দেখি আপনাদের ঘামে ভেঝা আয়ের অংশ দিয়ে গড়া কুরবানির আয়োজন যা বিতরণ হচ্ছে অনাহারী মানুষের জন্য ভালোবাসার উপহার হিসেবে। এক জন শিশুর মুখে খাবার তুলে দেওয়া অবশ্যই মহা উত্তম কাজ। সেই কাজটি করে যাচ্ছি আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতায়।

    রান্নার যাবতীয় উপকরণ

    আপনাদের অনুদানে হাসি ফুটছে সুবিধা বঞ্চিত পরিবারের মুখে। অনেকেই প্রশ্ন করেন যে ভাই গোশতের সাথে রান্না উপকরণ কি দেওয়া যায়? জ্বী আমরা প্রতি বছরই কুরবানির পশুর গোশতের সাথে যুক্ত করি হলুদ, মরিচ, মসলা ও তেল। সুবিধা বঞ্চিত মানুষ গুলো যেনো তৃপ্তি নিয়ে আহার করতে পারে, কি দিয়ে রান্না করবে সে চিন্তা যেনো না করতে হয়, সেই দিক বিবেচনা করেই আমাদের এই উদ্যোগ।

    কৃতজ্ঞতা আপনাদের প্রতি

    অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের সকল শুভাকাঙ্ক্ষী ও দাতাদের প্রতি। যাদের আন্তরিক ও মানবিক সহায়তায় সারা বছর জুড়ে বিভিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছি সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ও শিশু-কিশোরদের মাঝে। এই ভালোবাসায় গড়া খাবার গুলো পৌঁছে যাচ্ছে অনাহারী সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ও শিশু-কিশোরদের কাছে। আহার করবে তৃপ্তি নিয়ে। আর ইনশা আল্লাহ তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা সদকায়ে জারিয়া হিসেবে যুক্ত করে দিবেন আপনাদের আমলনামায়।

  • দিন দিন ঝুঁকি বেড়েই চলছে

    দিন দিন ঝুঁকি বেড়েই চলছে

    লজ্জা নয়। বাঁচতে হলে জানতে হবে। অধিকাংশ বস্তিতে বসবাসরত ১২-১৮ বছর বয়সের মেয়েরা এই বেপারে কিছুই ভালো ভাবে জানে না। লজ্জায় কারো কাছে প্রকাশও করেন না। আর নিজেরাও তেমন কিছু জানেন না বিধায় তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। অথচ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পিরিয়ডের সময় পরিচ্ছন্নতায় গাফিলতি থেকে নারীর জরায়ু মুখের ত্বকে নানা সমস্যা ছাড়াও হতে পারে জরায়ু ক্যান্সার। আবার অনেকেই এই সময় কাপড় ব্যবহার করে থাকেন যা আরও বেশি ঝুকিময়। আবার অনেকেই জেনে বুঝেই এই সময় টাতে নিচ্ছে ঝুকি। যা একটা সময় মৃত্যুরও কারন হতে পারে।

    আমাদের চেষ্টা

    আমরা চেষ্টা করি সেই সকল মানুষ গুলোর কাছে সঠিক বার্তা গুলো পৌছে দেওয়ার। তাদের কে পিরিয়ডের সময়ের ঝুকি সম্পর্কে অবগত ও সচেতন করার। সেনেটারি নেপকিন ব্যবহারের আগ্রহ করার। প্রতিটি মেয়ে মানুষের দরজায় পৌছে দিতে চাই এই বার্তা। যেনো একটি মেয়েও নিজেদের না জানার কারনে ক্ষতির সমুখিন না হয়। কারন আজকের মেয়েরাই আগামী দিনের একজন সচেতন মা। যিনি নিজের মেয়েকেও সচেতন করতে সক্ষম হবেন।

    তাদের সাথে যোগাযোগ

    ঘুরে ঘুরে বস্তি এলাকায় গিয়ে আমরা দেখলাম তাড়া এই বেপারে অনেকটাই বেখেয়ালি। আবার কেউ কেউ লজ্জায় সামনেই আসতে চান না। তাদের কাছে এই বেপার গুলো খুবই লজ্জার। কিন্তু ভালো ও সুস্থ থাকতে হলে তো আমাদের সকলেরই এই বেপার গুলো জানা প্রয়োজন। না হলে অচিরেই আরও জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হতে পারে আমাদের মা বোন রা। আমরা তালিকা করে সেই সকল মা বোন দের কাছে আমাদের কথা গুলো প্রকাশ করি এবং তাদের কে এই সকল বিষয় এ সচেতন হতে উৎসাহিত করি।

    লজ্জা নয় বাঁচতে হলে জানতে হবে।

    অর্থ সংকটে ও অনেক সুবিধা বঞ্চিত মা বোন এই স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে চান না। যেখানে ২ বেলা খাবার যোগাতেই অনেক কষ্ট হয়ে যাই। সেখানে ন্যাপকিন ব্যবহার করবেন কি ভাবে?
    আজ তাড়াও আমাদের সাথে খুব জোর গলায় বলে উঠল লজ্জা নয় বাঁচতে হলে জানতে হবে। সুবিধা বঞ্চিত ১২-১৮ বছর বয়সের মেয়েদের কে পিরিয়ড সম্পর্কে ধারনা ও করণীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হচ্ছে ও ফ্রি স্যানিটারি ন্যাপকিন উপহার দেওয়া হচ্ছে।