ফজরের নামাজ শেষে আর কোন অপেক্ষা নয়, সূর্য উঠার মূহুর্তের মধ্যেই বের হয়ে বাজার থেকে বিভিন্ন সবজি কিনে আনা হয়। এই সবজি বিক্রির জন্য না। না কোন দোকানের জন্য। এই সবজি আজ পৌঁছে যাবে বঞ্চিত মানুষ গুলোর ঘরে, নিন্মবিত্ত ও নিন্মমধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর ঘরে। দ্রব্য মূল্যের আকাশ চুম্বি দামের কারনে সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। প্রতিটি পণ্যের উর্ধ্বমূল্যের কারণে দিন খাটা মানুষ গুলো দিশেহারা। অভাবের সংসারে কত টানাটানি। তাই তাদের জন্য প্রতি সপ্তাহেই থাকে আমাদের এমন আয়োজন।



দিনমুজুর মায়ের কথা
মা’রে সারা দিন দিনমুজুরের কাজ করি। এইখানেই ইট ভাংগি। দেখতাছিলাম যে তোমরা খাওন দিতাছো। কাজ রাইখা লাইনে দাড়াইলে মালিক চিল্লাইবো। এজন্য যামু যে সেটাও পারতাছি না। এইখান থেকে সরাও নিষেধ। একটা খাওন দিয়া গেলে এই খানে বইসা খাইতাম। অনেক ক্ষিধা লাগছে মা। ইট ভাংইগা দিন শেষে যা পাই তা দিয়ে ২টা সন্তানরে চালাইতে হয়। একটারে মাদ্রাসায় দিছি আরেকটা স্কুলে।অন্য আরেক জন ছেলে আছিলো আমার বড় ছেলে, সে বিয়া কইরা আলাদা হইয়া গেছে। ঘর ভাড়া, খাওন, পড়া লেখার খরচ একা চালাইতে পারি না মা। কত মানুষের কত রকম জীবনের গল্প। মাঠ পর্যায়ে কাজ করে জানতি পাড়ি এমন অসংখ্য মানুষের জীবনী।



জমজ ভাই বোন
জমজ দু ভাই বোন। তাদের মুখ থেকে শুনা তাদের জীবনের গল্পটা। বাবা মা’য়ের অনেক আশা ছিলো পড়া লেখা করিয়ে একজনকে ডাক্তার আর আরেক জন কে শিক্ষক বানাবেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মমতায় বাবা চলে যাওয়ার পর আজ রাস্তার পথ শিশুর তালিকায় নাম হয়েছে। মা অসুস্থ বিছানায় পরে আছেন। তাই দু ভাই বোন নেমেছে রাস্তায় একটু খাবারের সন্ধানে। এমন অসংখ্য না বলা জীবনের বাস্তব রূপ গুলোর সাথে আমরা প্রতিদিনই সম্মুখীন হই। চেষ্টা করি আপনাদের অনুদানে তাদের গল্পের একটি অংশ হওয়ার জন্য। কৃতজ্ঞতা রইলো আপনাদের সকলের প্রতি। এমন মানুষ ও শিশু-কিশোরদের গল্পের অংশ হওয়ার জন্য।



সম্ভব
আপনারা পাশে থাকলে এমন অসংখ্য মানুষের দরজায় গিয়ে সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। তাদের মুখে, একটু ভালো রাখা সম্ভব। হাসি ফুটানো সম্ভব দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ।