Author: Pratham Bangla Foundation

  • কাঁচা বাজার

    কাঁচা বাজার

    ফজরের নামাজ শেষে আর কোন অপেক্ষা নয়, সূর্য উঠার মূহুর্তের মধ্যেই বের হয়ে বাজার থেকে বিভিন্ন সবজি কিনে আনা হয়। এই সবজি বিক্রির জন্য না। না কোন দোকানের জন্য। এই সবজি আজ পৌঁছে যাবে বঞ্চিত মানুষ গুলোর ঘরে, নিন্মবিত্ত ও নিন্মমধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর ঘরে। দ্রব্য মূল্যের আকাশ চুম্বি দামের কারনে সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। প্রতিটি পণ্যের উর্ধ্বমূল্যের কারণে দিন খাটা মানুষ গুলো দিশেহারা। অভাবের সংসারে কত টানাটানি। তাই তাদের জন্য প্রতি সপ্তাহেই থাকে আমাদের এমন আয়োজন।

    দিনমুজুর মায়ের কথা

    মা’রে সারা দিন দিনমুজুরের কাজ করি। এইখানেই ইট ভাংগি। দেখতাছিলাম যে তোমরা খাওন দিতাছো। কাজ রাইখা লাইনে দাড়াইলে মালিক চিল্লাইবো। এজন্য যামু যে সেটাও পারতাছি না। এইখান থেকে সরাও নিষেধ। একটা খাওন দিয়া গেলে এই খানে বইসা খাইতাম। অনেক ক্ষিধা লাগছে মা। ইট ভাংইগা দিন শেষে যা পাই তা দিয়ে ২টা সন্তানরে চালাইতে হয়। একটারে মাদ্রাসায় দিছি আরেকটা স্কুলে।অন্য আরেক জন ছেলে আছিলো আমার বড় ছেলে, সে বিয়া কইরা আলাদা হইয়া গেছে। ঘর ভাড়া, খাওন, পড়া লেখার খরচ একা চালাইতে পারি না মা। কত মানুষের কত রকম জীবনের গল্প। মাঠ পর্যায়ে কাজ করে জানতি পাড়ি এমন অসংখ্য মানুষের জীবনী।

    জমজ ভাই বোন

    জমজ দু ভাই বোন। তাদের মুখ থেকে শুনা তাদের জীবনের গল্পটা। বাবা মা’য়ের অনেক আশা ছিলো পড়া লেখা করিয়ে একজনকে ডাক্তার আর আরেক জন কে শিক্ষক বানাবেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মমতায় বাবা চলে যাওয়ার পর আজ রাস্তার পথ শিশুর তালিকায় নাম হয়েছে। মা অসুস্থ বিছানায় পরে আছেন। তাই দু ভাই বোন নেমেছে রাস্তায় একটু খাবারের সন্ধানে। এমন অসংখ্য না বলা জীবনের বাস্তব রূপ গুলোর সাথে আমরা প্রতিদিনই সম্মুখীন হই। চেষ্টা করি আপনাদের অনুদানে তাদের গল্পের একটি অংশ হওয়ার জন্য। কৃতজ্ঞতা রইলো আপনাদের সকলের প্রতি। এমন মানুষ ও শিশু-কিশোরদের গল্পের অংশ হওয়ার জন্য।

    সম্ভব

    আপনারা পাশে থাকলে এমন অসংখ্য মানুষের দরজায় গিয়ে সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। তাদের মুখে, একটু ভালো রাখা সম্ভব। হাসি ফুটানো সম্ভব দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ।

  • নেশা নাকি ক্ষুধা

    নেশা নাকি ক্ষুধা

    সবাই খালি কয় নেশা করি। দেখলেই তাড়াইয়া দেয় গালা গালি করে, চোর কয়। কয় তোরে দেখলেই মনে হয় তুই চোর, নেশা খাস। আমাগো চেহারায় কি লেখা আছে যে আমরা নেশাখোর? আমরা চোর? না খাইয়া থাকলে তো এমন দেখাইবোই। আর আল্লাহ বানাইছে আমি কি করমু।খাওন দেওয়ার বেলায় কেউ নাই। নিজে যে কাম কইরা খামু তাও কাজে নেয় না। তা হলে আমরা খামু কি? ক্ষিধার জ্বালা সহ্যও হয় না। তাই চিন্তা করছি নেশাই খামু। ক্ষিধাও লাগবো না, সারা দিন ঘুমামু। এ ভাবেই কথা গুলো বলছিলো সালমা। আমরা কি সত্যই তাদের মত শিশু-কিশোরদের অবহেলা করছি? আমরাই কি তাদের নেশাখোর বা চোর বানাচ্ছি। নিজের বিবেক কে প্রশ্ন করুন। আসুন না একবার অন্তত অবহেলা না দেখিয়ে একটু সহানুভূতি দেখাই।

    কষ্ট গুলো চাপা থাকে
    বাবা’রে চাইল ডাইলের গাড়ি দেইখা লাইনে দাড়াইছিলাম। অনেক বড় লম্বা লাইন। রোইদে দাড়াইয়া থাকতে থাকতে মাথা টা ঘুরান মারসে। ক্ষিধার জ্বালা আর সহ্য হইতাসে না। তাই রাস্তার পাশে বইয়া আছিলাম। অনেক ক্ষিধা লাগছে। একটু ভাত খামু। আমাদের নির্ধারিত হোটেল এর সামনে বসে এ ভাবেই কথা গুলো বলছিলেন এই সুবিধা বঞ্চিত মানুষটি। আমরা বললাম খালা একটু মুরগির মাংস দিয়ে ভাত খান। হাসি মুখে খেতে বসলো আর বললো বাবা অনেক দিন পর একটু মাংস খাইতাছি। এই সকল মানুষ গুলোর জন্য কিছু করাটাই তো আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। কৃতজ্ঞতা আপনাদের প্রতি। এই সকল মহৎ কাজে সহযোগিতা করার জন্য।

    খাবারের অভাব
    খালা কিছু খাইছেন? ওই খানে খাবার দিচ্ছে খাবেন? সারা দিন হাটছিরে মা, আর পারি না। লেংরাইয়া লেংরাইয়া আর কত হাটা যায়। একটু খাওনও কেউ দিলো না। তাই চুপ কইরা বইসা আছি। আর হাটার শক্তি নাই। স্বামী নাই, বাসায় একটা ছোট মাইয়া আছে, একটু খাওন দিয়া দিলে খুব ভালো হইতো মাইয়াডারে নিয়া এক সাথে খামু। সন্তানের জন্য মায়ের কতটাই না ভালবাসা। নিজে না খেয়ে আগে সন্তারের কথা ভাবেন। আর সেই সন্তানেরাই বড় হয়ে মা’কে দূরে সরিয়ে দেয়। তার কথা মত আমরা তাকে প্যাকেটে করে খাবার তুলে দেই তার হাতে।

    আপনারদের প্রতি
    শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইলো আপনাদের প্রতি

  • বোতল কুড়িয়ে চলে জীবন নামের চাকা

    বোতল কুড়িয়ে চলে জীবন নামের চাকা

    বৃদ্ধ মানুষ, বয়স হয়ে গেছে, ঘরে একটু ও বাজার নেই। খুঁজতে খুঁজতে এসেছেন আমাদের কাছে। আমরা তো এই সকল সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সেবার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। বিনিময় তারা ও আমাদের কে জড়িয়ে ধরে দিয়ে যান এক বুক ভালোবাসা ও দোয়া। এই দোয়া ও ভালোবাসা শুধু আমাদের না, আমাদের সকল দাতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য। যাদের আন্তরিক সহযোগিতায় এই মহৎ কাজ গুলো করতে পারছি। কৃতজ্ঞতা সকল দাতা ও শুভাকাঙ্ক্ষী প্রতি। আপনাদের অনুপ্রেরণায় আমরা এগিয়ে চলছি মানব সেবার পথে।

    সর্ব হারা

    নদী সব ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। স্বামী সন্তান নিয়ে তাই ঠাই নিয়েছেন এই বস্তিতে। কিন্তু এখানেও আস্থা পান না। মুখ পরিচিত মানুষ গুলোই শুধু খাবার আর সহযোগিতা পায়। এদিকে রাত্রে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বামী স্ত্রী পানি ভাত খেয়েই শুকরিয়া আদায় করবেন আল্লাহতা’আলার সন্তুষ্টির জন্য। আশা একটাই আল্লাহ নিরাশ করবেন না। আসলেই আমরা ও ঠিক সময় মত হাজির তাদের দরজায়। হাতে নিয়ে আপনাদের কষ্ট এর অর্থ গড়া খাবারের বক্স নিয়ে। আপনাদের যে বিশ্বাস, সেই বিশ্বাস কে সামনে রেখে কাদা, পানি, ময়লা, আবর্জনা পারিয়ে আমরা তা বাস্তবে রুপান্তর করি। কৃতজ্ঞতা রইলো সকলের প্রতি।

    বয়স্ক মানুষ

    চোখে ঝাপসা দেখেন। একটি চোখ দিয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে পানি ও বের হচ্ছে। যন্ত্রণায় রাস্তার একপাশে বসে কাতরাচ্ছিলেন এই বৃদ্ধ লোক। আমরা তাকে এর আগে ও সহায়তা করেছি। আমাদের কে চিনতে পারছিলেন না। হাত দিয়ে চোখের অবস্থা দেখাচ্ছিলেন। আমাদের দেওয়া বাজার ও কিছু অর্থ পেয়ে আগলে নিলেন নিজের কাছে। এইখানে বসেই টয়লেট করে ফেলেন। তা আবার অন্য একজন ভালো মানুষ পরিষ্কার করে দিয়ে যান। আর ও শারীরিক নানা অসুখে ভুগছেন তিনি। আমরা তাকে এবার আমাদের সাপ্তাহিক বাজারের আওতায় নিয়ে এসেছি। তার রান্নার দায়িত্ব একজন ভাই নিয়েছেন। আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতায় প্রতি দিন খাবার সহ সাপ্তাহিক ও মাসিক বাজার, চিকিৎসা সেবা, বস্ত্র উপহার, ক্ষুদ্র ব্যবসা ও শিক্ষা সেবা দ্বারা এতিম ও সুবিধা বঞ্চিত শিশু কিশোরদের শিক্ষার ব্যবস্থা করে যাচ্ছি। কৃতজ্ঞতা রইলো আপনাদের প্রতি, এমন হাজার ও মানুষ ও শিশু কিশোরদের পাশে দাড়ানোর জন্য।

    আমিন

    মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা আমাদের সকল কে তৌফিক দান করুক সকল শ্রেণি, পেশা ও মানুষের সহযোগীতা করার।

  • প্রতি সপ্তাহে বাজার

    দু হাত তুলে মহান আল্লাহতা’আলার কাছে দু’আ করছেন এই বৃদ্ধ মানুষটি। কোমড় সোজা হয়ে দাড়াতে পারেন না এ জন্য চেয়ারে বসতেও পারেন না। তবুও নিচে বসেই আপনাদের ও আমাদের জন্য দু’আ করছেন। এই দু’আ গুলো পৌঁছে যায় আমাদের সকল শুভাকাঙ্ক্ষী ও আমাদের জন্য। কি ভাবে যে কষ্টে দিন যাবন করেন তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না। বয়সের ভাড়ে শরীর এর চামড়া পর্যন্ত কুচকে গেছে। তার মধ্যে নানা রোগ ব্যধি তো লেগেই আছে। তাই তো প্রতি সপ্তাহে আমরা চেষ্টা করি তাদের মত অসহায় মা বাবা কে বাজার দেওয়ার জন্য ও মাসে তাদের ঘর ভাড়া গুলো পৌঁছে দেওয়ার জন্য। প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৬০/৭০টি পরিবার সাপ্তাহিক বাজার পান। তাদের মুখে হাসি ফুটাতে পারছি যা সম্পুর্ণ সম্ভব হচ্ছে আপনাদের মানবিক সহায়তায়। আপনাদের প্রতি সর্বদা কৃতজ্ঞ রইলাম। আশা করবো সব সময় আপনাদের কে এ ভাবেই পাশে পাবো।

    তার খাবার লাগবে

    ভাইয়া ভাইয়া একটা খাওন দিবেন? আইজ শুক্রবার অনেক ভালো দিন। আব্বা আগে শুক্রবারে অনেক মজার মজার খাওন আনতো। মায় রান্না করতো আমরা সবাই মিললা খাইতাম। এখন আব্বা নাই, আর মজার খাওন ও নাই। ছোট বাচ্চা মেয়ের মুখে এমন কথা শুনে হৃদয় কেপে উঠে আমাদের। বাস্তবতা কতই না কঠিন। যেখানে মা’য়ের কোলে বাবার ছায়া তলে থাকার কথা, আজ সেখানে বটবৃক্ষের ছায়ার নিচে দিন কাটাচ্ছে। আমরা সব সময় এমন মানুষ ও শিশু-কিশোরদের পাশে থাকতে চাই। যা আপনাদের আন্তরিক ও মানবিক সহায়তা ছাড়া কষ্ট সাধ্য। তাই আসুন সবাই মিলে এগিয়ে আশি। কৃতজ্ঞতা রইলো সকলের প্রতি।

    আমরা চেষ্টা করি

    চলে রান্নার আয়োজন। তার পর তা প্যাকিং। তার পর তা নিয়ে বের হন স্বেচ্ছাসেবীরা। পৌঁছে দেন সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ও শিশু-কিশোরদের মাঝে। যতটা সহজে বলে লেখা যায় ততটা সহজ কিন্তু কাজ গুলো নয়। এমন শিশু কিশোরদের মুখে হাসি ফুটাতে যুক্ত করা হয় শ্রম, সময়, কষ্ট ও অর্থের। যা যোগান দেন আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা আর দান গুলো আসে আপনাদের কাছ থেকে। এভাবেই চলছে আমাদের ছোট উদ্যোগে বড় এচিভমেন্ট।

    ভালোবাসা

    এমন ভালোবাসা গুলো শুরু হয় আপনাদের কাছ থেকে আর শেষ হয় এমন সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ও শিশু-কিশোরদের কাছে গিয়ে।

  • এ যুগেও দেখতে হয়

    এ যুগেও দেখতে হয়

    আধুনিক এই যুগেও কিছু মানুষ আছে যারা জীবন কাটান খুব কষ্ট করে। হয়তো আজ লেখার ভাষায় তা প্রকাশ করতে পারবো না। ছোট বেলায় অনেক স্থানে দেখা যেত রাতে কুপি জ্বালিয়ে ঘরের কাজ করতেন কিন্তু তাই বলে কি এখনো? আপনি আমি কি এই তীব্র গরমে আধুনিক সুযোগ সুবিধা ছাড়া নিজেদের কে ভাবতেই পারি? মোটেও না। একবার ভাবুন তো তাড়া কতটা কষ্টে আছে। কারো আপন জন দূরে সরিয়ে দিয়েছে, কারো নদী ভাঙ্গনে হারিয়েছেন সব, আবার কেউ কেউ সর্বস্ব হারিয়ে ঠাই নিয়েছেন এই নদীর ধারে। গিয়ে কেমন আছেন খাওয়া দাওয়া হয়েছে বলতেই জবাব দিলেন, ভাত আছে, এখন একটু আলু ভর্তা করে খামু। আমরা এই সকল মানুষ গুলোকে আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতায় স্থায়ী কিছু করে দিয়ে চাই।

    জুব্বা ও হিজাব বিতরণ

    আলহামদুলিল্লাহ। এতিমখানা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে নতুন জুব্বা ও মেয়েদের জন্য দেওয়া হয়েছে হিজাব। তাছাড়াও তাদের জন্য নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয় প্রধান শিক্ষক এর হাতে। যা প্রতি মাসেই আমরা প্রদান করে থাকি তিনটি এতিমখানা মাদ্রাসায়। এই সকল জুব্বা ও হিজাব পরে পড়া লেখা করবে জান্নাতের পাখি গুলো। আমরা চাই আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতায় ভালো রাখতে সকল সুবিধাবঞ্চিত মানুষ ও শিশু-কিশোরদের। আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতায় খাবার, সাপ্তাহিক ও মাসিক বাজার, ক্রয়কৃত দুধ, চিকিৎসা সেবা, ক্রয়কৃত ঔষধ, মেডিকেল ক্যাম্প, নতুন জামা কাপড়, কম্বল, ক্ষুদ্র ব্যবসা, শিক্ষা সেবা সহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছি পুরো বছর জুড়ে। তাছাড়াও ঈদে নতুন জামা কাপড়, ইফতার সাহরী, রোজা ও ঈদের বাজার, কুরবানি পশুর মাংস বিতরণ, বন্যার্ত এলাকায় জরুরী সাহায্য হুইলচেয়ার বিতরণ সহ নানা সেবা দিয়ে যাচ্ছি বছরের পর বছর।

    নাম মরিয়ম

    ছোট আরেক জন অতিথির দায়িত্ব এসেছে আমাদের উপরে। নাম মরিয়ম। মায়ের আয়ে চলে তাদের সংসার। কিন্তু সেই সীমিত আয়ে মেয়ের পড়া লেখা টা হবে না বলেই আমাদের কাছে এসেছেন। না চাই খাবার, না চাই বাজার, আবদার একটাই মেয়ের জন্য একটু শিক্ষার। তাই আমরাও কথা দিয়েছি। মরিয়মের সকল দায়িত্ব আমরা নেবো। আসলে আমরা তো এমন সকল কার্যক্রম গুলো পরিচালনা করছি আপনাদের অনুদানে। আপনারাই তো নিচ্ছেন তাদের দায়িত্ব। আমরা তো শুধু এমন মহৎ কাজ গুলো সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করে যাচ্ছি। আসুন এক জন না পারি দু জন মিলে হলেও এমন শিশু-কিশোরদের দায়িত্ব টুকু নেই। নিজের আপন জন মনে করে। নিজেদের ভালোবাসা গুলো, ভালো থাকা গুলো তাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেই।

    আমরা প্রতি
    কৃতজ্ঞতা রইলো আপনাদের প্রতি।

  • বৃদ্ধ মানুষ

    বৃদ্ধ মানুষ

    আজ এই বৃদ্ধ মা কে ঘর ভাড়ার অর্থ তার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই বৃদ্ধ মানুষটি আগে রোদ, বৃষ্টির মধ্যেও রাস্তায় মানুষের কাছে হাত পাত্তেন। এখন তিনি বাসায় থাকেন আর আল্লাহতা’আলার ইবাদত করেন। আমরা আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতায় তার মাসিক ব্যয় বহন করছি। প্রায় ৩বছর আমরাই তার পরিবার। এই অর্থ আমাদের না। এই অর্থ আপনাদেরই অনুদান। আমরা শুধু সঠিক মানুষ ও শিশু-কিশোরদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। শুধু তিনি নন তার মত প্রায় ৬৭টি জন্য বৃদ্ধ মা, বাবা, প্রতিবন্ধী, সর্ব হারা মানুষ আছেন। যাদের কে আমরা প্রতি সপ্তাহে ও মাসে বাজার প্রদান করে যাচ্ছি। কৃতজ্ঞতা রইলো আপনাদের সকলের প্রতি।

    ২জন মিলেই তাড়া

    স্বামী-স্ত্রী এই দু জন মিলেই তাদের সংসার। স্ত্রী বসে খাবার খেতে পারবেন না বলে নিজেও চেয়ারে বসেন নি। স্ত্রী আর নিজের জন্য খাবার বক্স করে নিয়েছেন বাসায় গিয়ে এক সাথে বসে খাবেন বলে। এখন তো স্ত্রী বা স্বামীর সামান্য তম ভুলেও ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ খুজে, সেখানে কিছু মানুষ থেকে যাওয়ার সুযোগটাই কাজে লাগায়। বেঁচে থাকুক এমন ভালোবাসা গুলো। শুধু কি ভাত, সবজি, ডিমের মধ্যেই কি সীমাবদ্ধ আমরা? নাহ, সুবিধা বঞ্চিত মানুষ গুলোকে তৃপ্তিময় আহারও বিতরণ করে যাচ্ছি সমান তালে। মাছ, মুরগী, মাংস সবই বিতরণ হয় আমাদের প্রতিষ্ঠানে। সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ও শিশু-কিশোরদের সেবা দেওয়াটাই আমার মূল লক্ষ্য।

    এক বোনের আর্তনাদ

    ভাই ঘরে বাজার নাই, স্বামী আজ ৬/৭মাস ধরে অসুস্থ। ৩টা বাচ্চা, ২জন মাদ্রাসায় পরে আর একজন ছোট। তাদের জন্য সব করতে গিয়ে ঘরের খাওন টাই হয় না। না খেয়ে কয়দিন থাকা যায়, অনেক সমস্যায় আছি। একটু বাজারের ব্যবস্থা করে দেন। তাই তো আমরা আমাদের সাপ্তাহিক বাজারের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। প্রতি মাসে তার বাজারের ব্যয় বহনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। প্রতিদিন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এমনি অসংখ্য ফোন ও মেসেজ আসে আমাদের কাছে। কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী আমাদের সাথে যোগাযোগ করে এমন সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সেবার ব্যবস্থা করে দেন। তাদের কে সম্মান জানাই।

    ধন্যবাদ

    অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমাদের সকল শুভাকাঙ্ক্ষী ও দাতাদের কে, যাদের অনুদানে হাসি ফুটাতে পারছি সকল সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ও শিশু-কিশোরদের মুখে।

  • দু জন হিরো

    দু জন হিরো

    দুটি ছবির মধ্যে কত টা পার্থক্য। ভাবলেই অবাক লাগে। আসলে আমরা যে ভাবে থাকবো, আমাদের পরিবেশটা যেমন হবে আমাদের কে ঠিক তেমন লাগবে। এমন শিশু-কিশোররাও একটু ভালো থাকার আর ভালো পরিবেশে বাঁচার আশা রাখে। রাস্তায় বোতল কুড়াচ্ছিলো। আমাদের খাবারের স্থানে এসে বললো, ভাইয়া খাওন তো নাই তার সাথে আমাগো তো জামা কাপড়ও নাই। মাঝে মধ্যে সন্ধ্যায় ক্ষিধা লাগে তাও খাইতে পাড়ি না। দেখুন শুধু একটু পরিবর্তন করেছি তাও তাদের পড়নের জামা কাপড়।

    তাতেই একেক জননে বিত্তবানদের চাইতে কম মনে হচ্ছে না। এমন ই ভাবে আমরা সবাই মিলে সাজাতে পাড়ি এমন শিশু কিশোর গুলোকে। একটু মানবিক চেষ্টা ই যার জন্য যথেষ্ট। আমাদের পরিবেশ সুন্দর করার আগে সুন্দর করতে হবে পরিবেশে থাকা বঞ্চিত মানুষ গুলো কে।

    সমস্যার সম্মুখীন হই

    সাময়িক সমস্যার জন্য আমাদের কার্যক্রমের আলোক চিত্র আপনাদের সাথে শেয়ার করতে বিলম্ব হওয়ায় আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। এখান থেকে নিশ্চিন্ত মনে খাবার সংগ্রহ করেন সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ও শিশু-কিশোর। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার সন্তুষ্টির জন্য যারাই আমাদের সাথে যুক্ত রয়েছেন ও হচ্ছেন সকলকে ধন্যবাদ। আলহামদুলিল্লাহ। দু’আ করবেন আমাদের সকল শুভাকাঙ্ক্ষী ও দাতাদের জন্য।

    পঙ্গুত্ব কোন দুর্বলতা নয়

    ঘরে একফোটা চাইলও নাই। কি খামু, কি ছোট্ট পোলা মাইয়ারে দিমু? পরে এক আন্টি কইলো তোমাগো কথা শুইনাই আইশা পরলাম। বলছিলাম করিমা খালার কথা গুলো।অন্যদিকে দু সন্তান নিয়ে পঙ্গু বাবা এসেছেন আমাদের কাছে। কি ভাবে চালাবেন সংসার। না পারতে মানুষের কাছে হাত পাত্তে হচ্ছে। সন্তানদের কে তো আর না খাইয়ে রাখা যায় না।এমনো অসংখ্য মানুষ আসেন আমাদের কাছে। আমরা তাদের কে বাজার ও নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তা করে যাচ্ছি। এই অর্থ আমাদের না। আমাদের দাতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের।

    সবাই মিলে চেষ্টা করি

    কৃতজ্ঞতা জানাই সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের যাদের নামটাও আমরা জানি না কিন্তু অনুদান দিয়ে যাচ্ছে সকল সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ও শিশু-কিশোরদের জন্য। সবাই মিলে একটু একটু করে নিজ নিজ জায়গা থেকে চেষ্টা করলে অবশ্য ই আমরা পারবো এমন মানুষ গুলোর পাশে থেকে তাদের সুখ, দু:খ, হাসি, কান্না, মান, অভিমান গুলোকে ভাগা ভাগি করতে।

  • অসহায় মা

    অসহায় মা

    ঘরের মেঝেটাও কাঠের তৈরি। খালের উপরে বাঁশ কাঠ দিয়ে গড়া বস্তির একটি ছোট্ট ঘরে থাকেন । জীবনের শেষ বয়সে এসে কত কষ্ট করতে হচ্ছে। ছেলে সন্তান নেই বলে জীবনের শেষ সময়টাতেও কাটছে নানা কষ্ট এ। প্রতি টি দিনই তার কাছে এক এক টি পরিক্ষা। বয়সের ভাড়ে গুজো হয়ে গেছে শরীর। কাজ করার মত সামর্থ্য টুকু ও নেই। জীবন যুদ্ধে এক মায়ের কথা গুলো বলছি। গত কয়েক দিন আগেই খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম তার। খুব আবদার করে বললেন, মা’গো শেষ কবে মাছ খাইছি মনে নাই। খুব মাছ খাইতে ইচ্ছে করে। আমাদের সাপ্তাহিক বাজার দেখে অভাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন। বললে লাগলেন, এই বাজার আমার? এই মাছ আমার? আলহামদুলিল্লাহ।

    প্রতিবন্ধী মেয়ে

    এক দিকে খাবার রান্না হয়। অন্য দিকে প্যাকেট করে ঘরে ঘরে তা পৌঁছে দেওয়া হয়। দরিদ্র মা তার প্রতিবন্ধী মেয়ে কে নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। স্বামী নেই। প্রতিবন্ধী মেয়ে কে নিয়ে খুব কষ্টে কাটছে তার দিন। মেয়ে প্রতিবন্ধী বলে তাকে রেখে কোথাও কাজও করতে পারেন না। কিন্তু ক্ষুধার জ্বালায় দিন কাটে অনাহারে। লজ্জায় মানুষের কাছে হাতও পাতেন না। খবর পেয়ে ছুটে যাই আমরা। তুলে দেই তাদের হাতে আমাদের রান্না করা খাবার। দূর দূরান্তে এমন অসংখ্য পরিবার রয়েছে যারা ক্ষুধার্ত থাকবে কিন্তু কারও কাছে বলবে না।

    স্মার্ট ছেলে

    দুটি ছবির মধ্যে কত টা পার্থক্য। ভাবলেই অবাক লাগে। আসলে আমরা যে ভাবে থাকবো, আমাদের পরিবেশটা যেমন হবে আমাদের কে ঠিক তেমন লাগবে। এমন শিশু-কিশোররাও একটু ভালো থাকার আর ভালো পরিবেশে বাঁচার আশা রাখে। রাস্তায় বোতল কুড়াচ্ছিলো। আমাদের খাবারের স্থানে এসে বললো, ভাইয়া খাওন তো নাই তার সাথে আমাগো তো জামা কাপড়ও নাই। মাঝে মধ্যে সন্ধ্যায় ক্ষিধা লাগে তাও খাইতে পাড়ি না। দেখুন শুধু একটু পরিবর্তন করেছি তাও তাদের পড়নের জামা কাপড়। তাতেই একেক জননে বিত্তবানদের চাইতে কম মনে হচ্ছে না।

    অনুদান

    এ ভাবেই দূর দূরান্তে ছুটে গিয়ে সঠিক সুবিধা বঞ্চিত মানুষ গুলো কে খুঁজে বের করি আমরা। এমন মানুষ গুলোকে খুজে খুজে তালিকা করে তাদের দড়জায় পৌঁছে দিচ্ছি আপনাদের অনুদান। কৃতজ্ঞতা রইলো আপনাদের প্রতি।

  • ছোট শিশুদের জীবন

    ছোট শিশুদের জীবন

    এই শিশু-কিশোরদের মুখের দিকে তাকালে সকল কষ্ট, পরিশ্রম, ত্যাগ সব কিছুই ভুলে যাই আমরা। কত টা কষ্ট যে তাদের ভিতরে আছে তা আমরা তাদের পাশে বসে না শুনলে জানা হতো না। মা বাবার বিচ্ছেদ এ তাদের ও জীবন হয়ে পড়েছে অনিশ্চয়তা। মা বাবা যে যার মত চলে গেছে আবার কার ও মা নেই তো আবার কার ও বাবা। এমন শিশু কিশোর তো আল্লাহর রহমত এই থাকে। শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুদানে আহার করাতে পেরে আমরা যেমন খুশি তেমনি তাড়াও আনন্দিত। বছরের পর বছর এমন সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ও শিশু-কিশোরদের মুখে হাসি ফুটিয়ে যাচ্ছি আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতায়। ইনশা আল্লাহ আশা করবো আগামীতেও আপনাদের কে একই ভাবে পাশে পাবো।

    বাবা ভাত খাই না কত দিন

    একটু খুশি করার চেষ্টা এই মানুষ গুলোকে। তাদের সমস্যা, ক্ষতিপূরণ, কষ্ট টুকু আমরা সমাধান দিতে পারবো না। কিন্তু চাইলে এমন মানুষ গুলোর পাশে থেকে অন্তত একটু সময় তাদের ভালো রাখার চেষ্টা টুকু করা যায়। তাদের হাতে খাবার তুলে দেওয়ার মত শান্তি আর কিছু তে নেই। আজ আমরা সবাই মিলে এমন মানুষ গুলোর পাশে থাকলে ইনশা আল্লাহ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা আমাদের পাশে থাকবেন। কত দিন ভাত খান না তাড়া। খুব আক্ষেপ নিয়ে এক বৃদ্ধ বয়সের লোক বলছিলেন। বাংগালী মানে মাছে ভাতে। দেখবেন কয়েক দিন আপনি ভাত ছাড়া অন্য যা কিছু খান ভাতের একটা ক্ষুধা থেকেই যায়। সেই চেষ্টা করি আমরা। অনুদান দিয়ে গড়ে তুলি নানান ধরনের সেবার আয়োজন।

    স্বামী হারা মেয়ে

    একটা বাচ্চা রেখে স্বামী চলে গেছেন। তার মধ্যে পরেছেন দুর্ভোগের শিকার। নিজে তো ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে পারেন কিন্তু নিজে না খেলে বাচ্চা যে খাবার পাবে না। বাচ্চার জন্য অন্তত নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে। ক্ষুধার জ্বালা যে কতটা কষ্ট দায়ক তা এই অল্প বয়সি মা ই জানেন। বাচ্চার মুখের দিকে তাকিয়ে দীত্বিয় বিয়েটাও করতে চান নি। বলেন আমার বাচ্চার ভালো না চাইলে তখন আমি কি করমু। এমন মা গুলো বেচে থাকুক আজীবন। বলছিলাম এক অসহায় মায়ের কথা। অল্প বয়সে দেখছেন বাস্তব কঠিন পৃথিবীটাকে। পোহাচ্ছেন নানা দুর্ভোগ। এমন মানুষ গুলোর পাশে না থাকতে পাড়লে আমরা সবাই ব্যর্থ। আমরা সবাই মিলেই আমাদের বাংলাদেশ।

  • আমাদের কাজ

    আমাদের কাজ

    পানির নিচে কি আছে তা দেখার সময়টাও নেই আমাদের সেচ্ছাসেবীদের। অনেকেরই পা কেটেছে, আঘাত লেগেছে, অসুস্থ হয়ে পরেছে। বাড়ি ফিরে যেতে বললে, মুচকি হেসে বলেন, আমি ঠিক আছি। এই ত্যাগ গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার না করে থাকতে পারলাম না। অনেক ত্যাগের কথা আছে হয়তো আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয় না। একটু খুশি করার চেষ্টা এই মানুষ গুলোকে। তাদের সমস্যা, ক্ষতিপূরণ, কষ্ট টুকু আমরা সমাধান দিতে পারবো না। কিন্তু চাইলে এমন মানুষ গুলোর পাশে থেকে অন্তত একটু সময় তাদের ভালো রাখার চেষ্টা টুকু করা যায়।

    সকলে মিলে কাজ করা

    দাতাদের অনুদানে আগামীকাল রাতেই এ সব নিয়ে রোওনা হবে আমাদের আরেকটি টিম। ইনশা আল্লাহ বুধবার তা পৌঁছে যাবে বন্যার্ত এলাকা গুলোর আশ্রয় কেন্দ্রে। এখানে অনেক জামা কাপড়ও আছে। গভীর রাতে বন্যার পানি ঘরের খাট অব্দি চলে আসে। কিছু বুঝার উপায়ও নেই। যে ভাবে যে ছিলো সে ভাবেই বেড়িয়ে গেছেন নিরাপদ দূরত্বে। খাবার ও খাবার পানির পাশা পাশা জামা কাপড়ও প্রয়োজন। ইনশা আল্লাহ দু’আ করবেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা যেনো সবাইকে সকলে সুস্থ ভাবে ফিরিয়ে আনেন।

    উপহার

    যারা ভাবেন এই গুলো ত্রান তাদের ধারনা টা ভুল। এক জন আল্লাহর প্রিয় বান্দাকে বলতে শুনলাম, যে আমরা আপনাদের জন্য ত্রান নিয়ে আসি নি। আমরা এসেছে আমাদের আত্নীয়র বাসায়। খালি হাতে আসা যায় নাকি তাই সাথে করে কিছু জিনিস নিয়ে এসেছি।আলহামদুলিল্লাহ এমন মন মানুষিকতা থাকলে এবারেও জয় করা সম্ভব এই দুর্যোগ কে। সবাই মিলে এক হয়ে কাজ করি। নিজে না পাড়লে বিশ্বস্ত কোন সংস্থা বা ব্যক্তির মাধ্যে করি। করতে হবেই এটা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।দূর থেকেই দেখছিলাম কেউ একজন অপেক্ষায় বসে আছেন ঘরের সামনে। কেউ খাবার নিয়ে আসবে, কেউ খোঁজ নিতে আসবে। ঘরের উঠানটাও পানিতে ডুবে গেছে। বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এমন মানুষ গুলোর জন্য আজ করবেন না তো আর কবে করবেন?

    আমরা সবাই এক

    ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা বিন্দু বিন্দু জল গড়ে তােলে মহাদেশ সাগর অতল। আসলেই সবাই মিলে যদি নিজ নিজ স্থান থেকে ক্ষুদ্রতম চেষ্টা টুকু করি হোক না তা শিশু খাদ্য, জামা কাপড়, শুকনো খাবার চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট, স্যালাইন, বিশুদ্ধ খাবার পানি, পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট, নগদ অর্থ যাই হোক। সেটা নিয়েই এগিয়ে আসি। এভাবেই আমাদের দেশের মানুষ যখন বিপদে পড়ে তখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার ইচ্ছায় দশে মিলে এগিয়ে আসে। আমরা চাইলেই বন্যার্ত মানুষ গুলোর মুখে হাসি ফুটাতে পারি। আসুন এক যোগে কাজ করি। ইনশা আল্লাহ সুবিধা বঞ্চিত ও বন্যার্ত মানুষ গুলোর পাশে ছিলাম, আছি, থাকবো। ইনশা আল্লাহ, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার ইচ্ছায় ও আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতায় এবারও আমরা সবাই মিলে এক যোগে বন্যার্ত মানুষ গুলোর পাশে দাড়াবো। আমাদের দেশের কঠিন সময়ে এক সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করবো।

    ভালোবাসা

    এমন দু’আ গুলোর আমাদের অনুপ্রেরণার মূল। দেশের মানুষ ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকবে। দেশের মানুষের সমস্যা দূর হলে দেশের সমস্যা দূর হবে। দেশটা আমাদের, দেশের মানুষ গুলোও আমাদের। আজ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার ইচ্ছায় আপনি তাদের সমস্যায় পাশে থাকবেন, ইনশা আল্লাহ একদিন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা তাদের কে আপনার সমস্যায় পাশে পাঠাবেন। আসুন সবাই এক হয়ে সকল বন্যার্ত ও দূর্যোগের শিকার এবং সুবিধা বঞ্চিত মানুষ গুলোর পাশে থাকি।