ভাইয়া আমার না একটু মিষ্টি ফল খাইতে মন চায়। কত দিন ফল খাই না! বাবা বেচে থাকতে কত রকমের ফল আনতো, আমরা ভাই বোন রা মজা করে খাইতাম। বাবা মারা যাওয়ার পর মায় আর পারে না। আরেক জন হাসতে হাসতে বলে উঠলো ভাইয়া আমাদেরও মন চায়। আমাদের কে মাঝে মধ্যে আপনাদের বোন হিসেবে খাওয়াইয়েন। ভাই খাওয়ালে আমরা খুব মজা করে খাবো। আমরা সবাই মিলে এক সাথে মজা করে খাবো আর পরবো, আমরা বড় হলে আপনাদের কে কিনে খাওয়াবো।
পুষ্টির প্রয়োজন সকলেরই
আসলে তাড়া এমন আবদার করার অধিকার রাখে আমাদের উপরে। কারন তাদের জন্যই তো আমরা আপনারা এত চেষ্টা করি, তাদের ভালো রাখার জন্যই তো আপনারা এত ভাবেন। আর সেই তাদেরই ইচ্ছে গুলো কি ভাবে অপূর্ণ রাখি। খাবারের পাশা পাশি পুষ্টির ও প্রয়োজন তাদের। পুষ্টির অভাবে অনেক শিশু কিশোর নানা রোগে ভুগছে। অনেকই হয়ে যাচ্ছে সারা জীবনের জন্য কোন এক পঙ্গুত্ব। আমাদের জীবনে মৌসুমি ফলের চাহিদা অনেক বেশি ও এতে পুষ্টি ঘাটতি পূরণ হয়। তাই তাদের আবদার গুলো আমাদের কাছে সব চাইতে জরুরি। এ জন্য যে কথা সেই কাজ পুষ্টির চাহিদার কথা মাথায় রেখে আমাদের বাচ্চাদের জন্য পুষ্টিকর ফল নিয়ে ২টি মাদ্রাসায় পাঠানো হয়।
সাপ্তাহিক বাজার
অন্য দিকে সুবিধা বঞ্চিত মানুষ গুলোর জন্য প্রস্তুত করা হয় সাপ্তাহিক বাজার। সেই বাজার গুলো বিতরণ করা হয় বঞ্চিত মানুষ গুলোর মাঝে। সাড়ি বদ্ধ ভাবে সাজানো হয় বাজার৷ তার পর একে একে বঞ্চিত মানুষ গুলো উপস্থিত হন সেই বাজারের ব্যাগ এর সামনে। তুলে নেন নিজ দায়িত্বে। বাধা দিবে না কেউ, না বলবে কোন কথা। চাল, ডাল, তেল, লবণ, মসলা সহ যাবতীয় উপকরণ দেওয়া আছে এই ব্যগ এ। আনন্দে বয়ে নিয়ে যাবেন নিজ ঘরে। এই একটি বাজারের ব্যাগ এ হাসি ফুটবে একটি পরিবারে। আর আসবে তাদের মনের ভেতর থেকে দু’আ।
সকলের জন্য তাদের দু’আ
এই দু’য়ার ভাগিদার আমরা একা নই, এর ভাগিদার সব চাইতে বেশি আপনারা।আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা, ভালোবাসা ও দু’য়ায় এভাবেই সুবিধা বঞ্চিত মানুষ গুলোর জন্য আমাদের সেবা গুলো চলমান থাকে। অর্থ সংকট থাকলেও ভালো কাজ গুলো পরিচালনা করতে চাই এভাবেই।
Leave a Reply