খাবার নিয়ে এখানে চিন্তা করতে হয় না। যার ইচ্ছে খাবার নিয়ে নেন নিজ হাতে। বাঁধা দেওয়ার বা বাড়ন করার কেই নেই। সুবিধা বঞ্চিত মানুষ থেকে শুরু করে পথচারী সহ সবার জন্য উন্মুক্ত এই খাবারের টেবিল। যার রিজিকে আছে সেই খাবার সংগ্রহ করে আহার করে নিচ্ছেন। মহান আল্লাহতা’আলা সকলেরই রিজিকের ব্যবস্থা করে দেন। আপনাদের সহযোগিতায় সেই উছিলা হতে চেয়েছি মাত্র। তাই এই আয়োজন। এই খাবারের টেবিল সকল সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য উন্মুক্ত।
বুক ভড়া আক্ষেপ
ছোট মেয়েটি আমাদের খাবারের টেবিল এর সামনে এসে বলতে লাগলো, আপা এই খাওন কি আমাগো লাইগা? আমরা নিলে আবার মারবেন না তো? সবাই দাবরানী দেয় আর কয় কাজ করতে পারোস না? আগে এক বাসায় কাজ করতাম, শুধু শুধু মারতো, কোন কারন ছাড়াই। মনে হয় শরীরটা হেরা কিন্না লইছে। তাই কাজ বাদ দিয়া দিছি। এখন রাস্তায় কাগজ টোকাই। যা কামাই তা দিয়াই খাই। কারও মাইর খাওন লাগে না। না কামাইলে না খাইয়াই থাকি তাতেও কষ্ট নাই। মানুষ টোকাই কয়, গালি দেয় দেগগা। কিন্তু কেউ খাওন দেয় না। আদর কইরা পাশে বসায় না। মানুষ এমনি আপু।
আমাদের উত্তর
ঠিক এ ভাবেই কথা গুলো বলছিলো রাস্তার এই শিশু-কিশোর গুলো। শুনে আমরাও বললাম, হ্যাঁ কিন্তু সবাই তো আর এক হয় না। খারাপ না থাকলে আমরা ভালোর মর্ম বুঝতাম না। যারা ভালো তাড়া সব সময় ভালবাসা বিলিয়ে বেড়ায়। এই যে দেখো তাড়া তোমাদের মত সকলের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করে যাচ্ছেন আর এই গুলো তোমাদের জন্যই। কেউ বাধা দিবে না, আর শরীরে হাত তোলা তো দূরের কথা। এই খাবার তোমাদের আপনজনরেই পাঠিয়েছেন তোমাদের জন্য।
আপনারা আছেন বলেই
কৃতজ্ঞতা রইলো আপনাদের প্রতি, ভালোবাসা দিয়ে এমন শিশু-কিশোরদের পাশে থাকার জন্য। আপনাদের আয়ের অংশ ভাগ করছেন সুবিধা বঞ্চিত মানুষ গুলোর জন্য আর আমরা তা সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করে পৌঁঁছে দিচ্ছি তাদের কাছে। আপনাদের সহযোগিতা ও আমাদের চেষ্টা মিলে একটু হলেও হাসি ফুটাতে পারবো বঞ্চিত মানুষ ও শিশু-কিশোরদের মুখে। আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা আমরা চেষ্টা করছি ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিনামূল্যে খাবারের টেবিল স্থাপন করার। আশা করি আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা আমাদের পাশে সব সময়ই থাকবে।
Leave a Reply