মহৎ কাজ থেমে থাকে না

এই বৃষ্টির মধ্যেও না খেয়ে রাস্তার পাশে বসে ছিলেন একজন লোক। কাছে যেতেই আশে পাশের লোক জন বলে উঠলো, ভাই এ তো পাগল। কেনো ভাই পাগলের কি ক্ষুধা নাই? কাছে গিয়ে হাসি মুখে খাবার দিতেই বললেন ব্যথার কথা। বুকের ডান পাশে অনেক ব্যথা। আমরা তাকে খাবার ও ঔষুধ এর ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
।অন্য দিকে খাবার হাতে পেয়ে খুব আবেগে বলে ফেললেন, বাবা ঘরে খাওন নাই তাই এই বৃষ্টির মধ্যেও বের হইছি। কিন্তু কোনো খাওন না পাইয়া বাসার দিকে যাইতে লইছি আর তোমরা আইলা। বলতে বলতে কান্না করে দিলেন।

কান্না এমনেতেই আসে না

খুব কষ্টে সচারাচর আমরা কান্না করি, ঠিক তেমনি সারা দিন ঘুরে একটু খাবারও যোগাড় হয়নি এই চলাচলে অক্ষম মায়ের। এদিকে বাসায় একটি প্রতিবন্ধী মেয়ে আছে। সে এখনো কিছুই খায়নি। সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেছে।

রাস্তার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ছুটতে ছুটতে দেখেন আমাদের খাবার বিতরণ। দেখেই কাছে এসে হাউমাউ করে কান্না করতে করতে বলেন কথা গুলো। শুনে অনেক খারাপ লাগে আমাদের। সাথে সাথে আমরাই তার হাতে খাবার প্যাক করে তুলে দেই।

অন্ধ মানুষটি

অন্ধ মানুষ। দুটি চোখই অন্ধ। চোখ দিয়ে পানিও পরে। তাই ডাক্তার ঔষধ দিয়েছেন আর বলেছেন দুধ ডিম সহ পুষ্টিকর খাবার খেতে। এদিকে এক বেলা খাবার যোগাতেই হাত পাত্তে হয়েছে মানুষের কাছে। অন্ধ বলে কিছুই করতে পারেন না।

দুধ, ডিম পুষ্টিকর খাবার তো এখন কল্পনা মাত্র। আমাদের স্বেচ্ছাসেবী তার কথা শুনেই তাকে পুষ্টিকর খাবার কিনে দেন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গই অনেক বড় নেয়ামত সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে। যার যেটা নেই সেই বুঝে তার মর্ম।

আমরা পারছি

ঝড়, তুফান, রোদ, বৃষ্টি যাই হোক না কেনো, আমাদের কার্যক্রম এক দিনের জন্যেও বন্ধ থাকে না। কৃতজ্ঞতা রইলো আপনাদের প্রতি। এই সকল সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার ইচ্ছা আর আপনাদের সহযোগীতা না থাকলে হয় তো এত পথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব হতো না। আপনারা পাশে আছেন বলেই অসহায় মানুষ গুলোর সেবা দিতে পারছি তাদের দুঃখ কষ্ট গুলো ভাগা ভাগি করে নিতে পারছি। ভালো থাকবেন সবাই।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *