আজ এই বৃদ্ধ মা কে ঘর ভাড়ার অর্থ তার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই বৃদ্ধ মানুষটি আগে রোদ, বৃষ্টির মধ্যেও রাস্তায় মানুষের কাছে হাত পাত্তেন। এখন তিনি বাসায় থাকেন আর আল্লাহতা’আলার ইবাদত করেন। আমরা আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতায় তার মাসিক ব্যয় বহন করছি। প্রায় ৩বছর আমরাই তার পরিবার। এই অর্থ আমাদের না। এই অর্থ আপনাদেরই অনুদান। আমরা শুধু সঠিক মানুষ ও শিশু-কিশোরদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। শুধু তিনি নন তার মত প্রায় ৬৭টি জন্য বৃদ্ধ মা, বাবা, প্রতিবন্ধী, সর্ব হারা মানুষ আছেন। যাদের কে আমরা প্রতি সপ্তাহে ও মাসে বাজার প্রদান করে যাচ্ছি। কৃতজ্ঞতা রইলো আপনাদের সকলের প্রতি।


২জন মিলেই তাড়া
স্বামী-স্ত্রী এই দু জন মিলেই তাদের সংসার। স্ত্রী বসে খাবার খেতে পারবেন না বলে নিজেও চেয়ারে বসেন নি। স্ত্রী আর নিজের জন্য খাবার বক্স করে নিয়েছেন বাসায় গিয়ে এক সাথে বসে খাবেন বলে। এখন তো স্ত্রী বা স্বামীর সামান্য তম ভুলেও ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ খুজে, সেখানে কিছু মানুষ থেকে যাওয়ার সুযোগটাই কাজে লাগায়। বেঁচে থাকুক এমন ভালোবাসা গুলো। শুধু কি ভাত, সবজি, ডিমের মধ্যেই কি সীমাবদ্ধ আমরা? নাহ, সুবিধা বঞ্চিত মানুষ গুলোকে তৃপ্তিময় আহারও বিতরণ করে যাচ্ছি সমান তালে। মাছ, মুরগী, মাংস সবই বিতরণ হয় আমাদের প্রতিষ্ঠানে। সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ও শিশু-কিশোরদের সেবা দেওয়াটাই আমার মূল লক্ষ্য।
এক বোনের আর্তনাদ

ভাই ঘরে বাজার নাই, স্বামী আজ ৬/৭মাস ধরে অসুস্থ। ৩টা বাচ্চা, ২জন মাদ্রাসায় পরে আর একজন ছোট। তাদের জন্য সব করতে গিয়ে ঘরের খাওন টাই হয় না। না খেয়ে কয়দিন থাকা যায়, অনেক সমস্যায় আছি। একটু বাজারের ব্যবস্থা করে দেন। তাই তো আমরা আমাদের সাপ্তাহিক বাজারের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। প্রতি মাসে তার বাজারের ব্যয় বহনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। প্রতিদিন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এমনি অসংখ্য ফোন ও মেসেজ আসে আমাদের কাছে। কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী আমাদের সাথে যোগাযোগ করে এমন সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সেবার ব্যবস্থা করে দেন। তাদের কে সম্মান জানাই।
ধন্যবাদ


অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমাদের সকল শুভাকাঙ্ক্ষী ও দাতাদের কে, যাদের অনুদানে হাসি ফুটাতে পারছি সকল সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ও শিশু-কিশোরদের মুখে।
Leave a Reply