দুটি ছবির মধ্যে কত টা পার্থক্য। ভাবলেই অবাক লাগে। আসলে আমরা যে ভাবে থাকবো, আমাদের পরিবেশটা যেমন হবে আমাদের কে ঠিক তেমন লাগবে। এমন শিশু-কিশোররাও একটু ভালো থাকার আর ভালো পরিবেশে বাঁচার আশা রাখে। রাস্তায় বোতল কুড়াচ্ছিলো। আমাদের খাবারের স্থানে এসে বললো, ভাইয়া খাওন তো নাই তার সাথে আমাগো তো জামা কাপড়ও নাই। মাঝে মধ্যে সন্ধ্যায় ক্ষিধা লাগে তাও খাইতে পাড়ি না। দেখুন শুধু একটু পরিবর্তন করেছি তাও তাদের পড়নের জামা কাপড়।
তাতেই একেক জননে বিত্তবানদের চাইতে কম মনে হচ্ছে না। এমন ই ভাবে আমরা সবাই মিলে সাজাতে পাড়ি এমন শিশু কিশোর গুলোকে। একটু মানবিক চেষ্টা ই যার জন্য যথেষ্ট। আমাদের পরিবেশ সুন্দর করার আগে সুন্দর করতে হবে পরিবেশে থাকা বঞ্চিত মানুষ গুলো কে।
সমস্যার সম্মুখীন হই
সাময়িক সমস্যার জন্য আমাদের কার্যক্রমের আলোক চিত্র আপনাদের সাথে শেয়ার করতে বিলম্ব হওয়ায় আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। এখান থেকে নিশ্চিন্ত মনে খাবার সংগ্রহ করেন সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ও শিশু-কিশোর। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার সন্তুষ্টির জন্য যারাই আমাদের সাথে যুক্ত রয়েছেন ও হচ্ছেন সকলকে ধন্যবাদ। আলহামদুলিল্লাহ। দু’আ করবেন আমাদের সকল শুভাকাঙ্ক্ষী ও দাতাদের জন্য।
পঙ্গুত্ব কোন দুর্বলতা নয়
ঘরে একফোটা চাইলও নাই। কি খামু, কি ছোট্ট পোলা মাইয়ারে দিমু? পরে এক আন্টি কইলো তোমাগো কথা শুইনাই আইশা পরলাম। বলছিলাম করিমা খালার কথা গুলো।অন্যদিকে দু সন্তান নিয়ে পঙ্গু বাবা এসেছেন আমাদের কাছে। কি ভাবে চালাবেন সংসার। না পারতে মানুষের কাছে হাত পাত্তে হচ্ছে। সন্তানদের কে তো আর না খাইয়ে রাখা যায় না।এমনো অসংখ্য মানুষ আসেন আমাদের কাছে। আমরা তাদের কে বাজার ও নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তা করে যাচ্ছি। এই অর্থ আমাদের না। আমাদের দাতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের।
সবাই মিলে চেষ্টা করি
কৃতজ্ঞতা জানাই সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের যাদের নামটাও আমরা জানি না কিন্তু অনুদান দিয়ে যাচ্ছে সকল সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ও শিশু-কিশোরদের জন্য। সবাই মিলে একটু একটু করে নিজ নিজ জায়গা থেকে চেষ্টা করলে অবশ্য ই আমরা পারবো এমন মানুষ গুলোর পাশে থেকে তাদের সুখ, দু:খ, হাসি, কান্না, মান, অভিমান গুলোকে ভাগা ভাগি করতে।
Leave a Reply