লজ্জা নয়। বাঁচতে হলে জানতে হবে। অধিকাংশ বস্তিতে বসবাসরত ১২-১৮ বছর বয়সের মেয়েরা এই বেপারে কিছুই ভালো ভাবে জানে না। লজ্জায় কারো কাছে প্রকাশও করেন না। আর নিজেরাও তেমন কিছু জানেন না বিধায় তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। অথচ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পিরিয়ডের সময় পরিচ্ছন্নতায় গাফিলতি থেকে নারীর জরায়ু মুখের ত্বকে নানা সমস্যা ছাড়াও হতে পারে জরায়ু ক্যান্সার। আবার অনেকেই এই সময় কাপড় ব্যবহার করে থাকেন যা আরও বেশি ঝুকিময়। আবার অনেকেই জেনে বুঝেই এই সময় টাতে নিচ্ছে ঝুকি। যা একটা সময় মৃত্যুরও কারন হতে পারে।
আমাদের চেষ্টা
আমরা চেষ্টা করি সেই সকল মানুষ গুলোর কাছে সঠিক বার্তা গুলো পৌছে দেওয়ার। তাদের কে পিরিয়ডের সময়ের ঝুকি সম্পর্কে অবগত ও সচেতন করার। সেনেটারি নেপকিন ব্যবহারের আগ্রহ করার। প্রতিটি মেয়ে মানুষের দরজায় পৌছে দিতে চাই এই বার্তা। যেনো একটি মেয়েও নিজেদের না জানার কারনে ক্ষতির সমুখিন না হয়। কারন আজকের মেয়েরাই আগামী দিনের একজন সচেতন মা। যিনি নিজের মেয়েকেও সচেতন করতে সক্ষম হবেন।
তাদের সাথে যোগাযোগ
ঘুরে ঘুরে বস্তি এলাকায় গিয়ে আমরা দেখলাম তাড়া এই বেপারে অনেকটাই বেখেয়ালি। আবার কেউ কেউ লজ্জায় সামনেই আসতে চান না। তাদের কাছে এই বেপার গুলো খুবই লজ্জার। কিন্তু ভালো ও সুস্থ থাকতে হলে তো আমাদের সকলেরই এই বেপার গুলো জানা প্রয়োজন। না হলে অচিরেই আরও জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হতে পারে আমাদের মা বোন রা। আমরা তালিকা করে সেই সকল মা বোন দের কাছে আমাদের কথা গুলো প্রকাশ করি এবং তাদের কে এই সকল বিষয় এ সচেতন হতে উৎসাহিত করি।
লজ্জা নয় বাঁচতে হলে জানতে হবে।
অর্থ সংকটে ও অনেক সুবিধা বঞ্চিত মা বোন এই স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে চান না। যেখানে ২ বেলা খাবার যোগাতেই অনেক কষ্ট হয়ে যাই। সেখানে ন্যাপকিন ব্যবহার করবেন কি ভাবে?
আজ তাড়াও আমাদের সাথে খুব জোর গলায় বলে উঠল লজ্জা নয় বাঁচতে হলে জানতে হবে। সুবিধা বঞ্চিত ১২-১৮ বছর বয়সের মেয়েদের কে পিরিয়ড সম্পর্কে ধারনা ও করণীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হচ্ছে ও ফ্রি স্যানিটারি ন্যাপকিন উপহার দেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply