তাড়া আমাদের অফিসেই চলে আসেন

প্রতিদিন ই প্রায় অনেক মানুষ আসেন আমাদের কাছে। একটু খাবার এর জন্য। দ্রব্য মূল্যের এই বাজারে নিন্ম আয়ের মানুষ গুলোর জীবন অতটা সহজ নয় যতটা হয় তো আমরা ভাবি। আমাদের অফিসে এসে তাদের জীবন এর নানা কষ্টের কথা বলেন। কেউ বৃদ্ধ কাজ করতে পারেন না, কার ও স্বামী সন্তান আত্নীয় স্বজন কেউ নেই ছোট একটি বাচ্চা ছাড়া। বাচ্চার জন্য কোথাও কাজ ও করতে পাড়েন না। আবার কার ও রিকশাই ছিলো শেষ সম্বল। সেটাও নিয়ে গেছে চোর। এভাবেই তাদের কষ্টের কথা গুলো শুনে একটু ভাগাভাগি করার চেষ্টা করি সেই সকল সমস্যা গুলোর। দু’আ করবেন আমাদের জন্য। আপনাদের মানবিক সহায়তায় এমন সেবা গুলো যেনো দিতে পারি সুবিধা বঞ্চিত মানুষ গুলোর মাঝে।

বিভিন্ন স্থানে খাবার বিতরণ

খাবার শুধু খাবারই নয়, খাবার একটি সম্পর্ক, অধিকার, আশা। আসলে সম্পর্ক গড়ে তুলেছি এই মানুষ গুলোর সাথে খাবার এর মাধ্যমে। এই খাবার তাদের অধিকার। বিত্তশালী এবং যাদের কাছে নিজেদের প্রয়োজন এর বেশি আছে তাদের প্রতি।

এই আশায় তাড়া থাকেন যে আল্লাহ কাউ কে না কাউ কে উছিলা বানিয়ে তাদের নিকট পাঠাবেন। তাদের এই বিশ্বাস আসলেই সত্য। এই যে আল্লাহ আপনাদের কে উছিলা বানিয়ে আমাদের মাধ্যমে খাবার পৌঁছে দেন এমন সুবিধা বঞ্চিত ঠিকানা বিহীন মানুষ ও শিশু-কিশোর গুলোর মাঝে। দু’আ ও ভালোবাসা রইলো।

বাজার পেয়ে খুশি

খুব খুশি হয়ে মাথায় হাত দিয়ে বলছিলো, আব্বু অনেক চিন্তায় ছিলাম এই মাসে কেমনে চলমু? জিনিস পত্রের যেই দাম কি ভাবে কিনমু। আর তোমরা আমার সেই চিন্তা দূর কইরা দিলা। আল্লাহ তোমাগোরে অনেক বড় করুক, নেক হায়াত দান করুক। আমার মত মায়েদের জন্য আরও সম্পদ দান করুক।

এ ভাবেই মাথায় হাত বুলিয়ে বুলিয়ে আবেগময় হয়ে যান। তার সাথে আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরাও সেই ভালবাসার সুযোগটি পান। এই সুযোগ গুলো আপনাদের মাধ্যমেই গড়তে পেরেছি। কৃতজ্ঞতা রইলো আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য।

বিরতিহীন

এমন সকল কাজ নিয়ে দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটতে থাকি আমরা। আমাদের কোন কর্ম বিরতি নেই, নেই কোন বিশ্রাম এর সময়। এক টিম কাজ শেষ করে আসলে আরেক টিম বেড় হয়।

এ ভাবেই চলতে থাকে আমাদের প্রথম বাংলা ফাউন্ডেশন এর চাকা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *