এই শিশু-কিশোরদের মুখের দিকে তাকালে সকল কষ্ট, পরিশ্রম, ত্যাগ সব কিছুই ভুলে যাই আমরা। কত টা কষ্ট যে তাদের ভিতরে আছে তা আমরা তাদের পাশে বসে না শুনলে জানা হতো না। মা বাবার বিচ্ছেদ এ তাদের ও জীবন হয়ে পড়েছে অনিশ্চয়তা। মা বাবা যে যার মত চলে গেছে আবার কার ও মা নেই তো আবার কার ও বাবা। এমন শিশু কিশোর তো আল্লাহর রহমত এই থাকে। শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুদানে আহার করাতে পেরে আমরা যেমন খুশি তেমনি তাড়াও আনন্দিত। বছরের পর বছর এমন সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ও শিশু-কিশোরদের মুখে হাসি ফুটিয়ে যাচ্ছি আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতায়। ইনশা আল্লাহ আশা করবো আগামীতেও আপনাদের কে একই ভাবে পাশে পাবো।
বাবা ভাত খাই না কত দিন
একটু খুশি করার চেষ্টা এই মানুষ গুলোকে। তাদের সমস্যা, ক্ষতিপূরণ, কষ্ট টুকু আমরা সমাধান দিতে পারবো না। কিন্তু চাইলে এমন মানুষ গুলোর পাশে থেকে অন্তত একটু সময় তাদের ভালো রাখার চেষ্টা টুকু করা যায়। তাদের হাতে খাবার তুলে দেওয়ার মত শান্তি আর কিছু তে নেই। আজ আমরা সবাই মিলে এমন মানুষ গুলোর পাশে থাকলে ইনশা আল্লাহ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা আমাদের পাশে থাকবেন। কত দিন ভাত খান না তাড়া। খুব আক্ষেপ নিয়ে এক বৃদ্ধ বয়সের লোক বলছিলেন। বাংগালী মানে মাছে ভাতে। দেখবেন কয়েক দিন আপনি ভাত ছাড়া অন্য যা কিছু খান ভাতের একটা ক্ষুধা থেকেই যায়। সেই চেষ্টা করি আমরা। অনুদান দিয়ে গড়ে তুলি নানান ধরনের সেবার আয়োজন।
স্বামী হারা মেয়ে
একটা বাচ্চা রেখে স্বামী চলে গেছেন। তার মধ্যে পরেছেন দুর্ভোগের শিকার। নিজে তো ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে পারেন কিন্তু নিজে না খেলে বাচ্চা যে খাবার পাবে না। বাচ্চার জন্য অন্তত নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে। ক্ষুধার জ্বালা যে কতটা কষ্ট দায়ক তা এই অল্প বয়সি মা ই জানেন। বাচ্চার মুখের দিকে তাকিয়ে দীত্বিয় বিয়েটাও করতে চান নি। বলেন আমার বাচ্চার ভালো না চাইলে তখন আমি কি করমু। এমন মা গুলো বেচে থাকুক আজীবন। বলছিলাম এক অসহায় মায়ের কথা। অল্প বয়সে দেখছেন বাস্তব কঠিন পৃথিবীটাকে। পোহাচ্ছেন নানা দুর্ভোগ। এমন মানুষ গুলোর পাশে না থাকতে পাড়লে আমরা সবাই ব্যর্থ। আমরা সবাই মিলেই আমাদের বাংলাদেশ।
Leave a Reply