ঘর বন্দি মানুষ গুলো

২/৩ দিন যাবত বৃষ্টি, ঘর থেকেই বের হওয়া যাচ্ছে না৷ সুবিধা বঞ্চিত মানুষ গুলো সারা দিন একটু কাজের বা খাবারের সন্ধানে ছুটেন রাস্তায়। বৃষ্টি জন্য এখন তাও হচ্ছে না৷ এদিকে রাতে খাবারের সময় হয়েছে। অনেক কষ্টে আপতত কিছু চাল আর আলু যোগাড় করেছে কেউ কেউ। তাই দিয়ে পান্তা ভাত আর আলুর ভর্তা নিয়ে বসেছেন খাওয়ার জন্য। কারন খালি পেটে তো আর ঘুম আসে না। ক্ষুধার জ্বালা আক্রমণ করে পেট এ, সেই জ্বালা খুবই অসহনীয়। ঠিক সেই মুহুর্তেই আমরা হাজির তাদের কে ভালো কিছু খাবার দেওয়ার জন্য। তা দেখে খুশিতে বলতে লাগলেন, আমার বাবা’রা মা’র লাইগা খাওন নিয়া আইছে। তাদের হাতে খাবার তুলে দেওয়ার মত শান্তি, তৃপ্তি হয়তো আর কিছুতে নেই।

মায়া ভরা মুখখানা

অন্য দিকে দিনের আয়োজন দেখা তার সাথে। অবুঝ মুখখানা। কথা বলতে পারে না শুধু অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে। মায়া ভরা মুখ, দেখলেই মায়া লাগে। এমন বাচ্চা কে ফেলে কে বা চলে যেতে পারে? বাবা চলে যাওয়ার পর মাই তার পৃথিবী। ছোট বাচ্চা সহ কেউ কাজে নেন না। বাচ্চা কে কোথাও রেখেও যেতে পারেন না। তাই অসহায় মা তার এই ছোট্ট বাচ্চা কে নিয়ে ছুটেন রাস্তায় রাস্তায় একটু খাবারের সন্ধানে। তার সাথে আজ আমাদের দুপুরের খাবারের আয়োজনে দেখা। এসে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো আমাদের দিকে। চোখ গুলো যেনে অনেক কিছু বলছে আমাদের কে। শিশু তো কি হয়েছে ক্ষুধা তো সবারই লাগে। খাবার পেয়ে তৃপ্তি মাখা মুচকি হাসি দিয়ে তার অনুভূতির জানান দিলো আমাদের কে। বুঝে নিলাম আমরা।

আপনাদের জন্যই সম্ভব

এই সকল ভালো কাজ গুলো করার মূল উৎসাহ পাই আমাদের দাতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য। তাদের জন্যই আমরা এত ভালো মূহুর্ত দেখতে পাই। সম্মান, শ্রদ্ধা ভালবাসা রইলো সকলের প্রতি। এ ভাবেই বছরের পর বছর খাবার, সাপ্তাহিক ও মাসিক বাজার, ক্রয়কৃত দুধ, চিকিৎসা সেবা, ক্রয়কৃত ঔষধ, বস্ত্র ও কম্বল বিতরণ, শিক্ষা সেবা দ্বারা এতিমখানা মাদ্রাসা ও স্কুলের এতিম শিক্ষার্থীদের ব্যয় বহন, ক্ষুদ্র ব্যবসা সহ নানা সেবা পরিচালনা করে যাচ্ছি আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা। কৃতজ্ঞতা রইলো আপনাদের প্রতি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *