ফোন আলাপে মাত্র দুটি বাক্যতেই সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ও শিশু-কিশোরদের জন্য আমাদের মাধ্যমে খাবারের আয়োজন করেছিলেন একজন সম্মানিত দাতা। অভাবগ্রস্থ অনাহারী মানুষ ও শিশু-কিশোরদের তার ছেলের জন্ম দিন কে তাদের মাঝে ভাগাভাগি করেছিলেন। তুলে দিয়েছিলেন তাদের হাতে খাবার। জন্ম দিন এর আনন্দ টুকু ভাগাভাগি করেছেন তাদেরর সাথে। সন্তান কে নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন আমাদের বিনা মুল্যে খাবার এর স্থানে। কথা বলেছিলেন রাস্তার পাশে থাকা শিশু কিশোরদের সাথে। আনন্দে কাটিয়েছেন কিছু মুহূর্ত।
জন্মদিন পালন
সে দিন তার ছেলে জন্মদিন ছিলো, সেই উপলক্ষে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সাথে সেই দিন টা ভাগাভাগি করেছিলেন। চাইলেই নিজের আত্নীয় স্বজন নিয়ে ধুম ধাম করে, যাক জমক করে পালন করতে পারতেন এই দিন টি কে। তা না করে সময় দিয়েছিলেন বঞ্চিত শিশুদের মাঝে। হাতে তুলে নিয়েছিলেন তাদের এক বেলা আহারের দায়িত্ব টুকু। আসলে আমরা চাইলেই পারি এমন মানুষ গুলোর মুখে হাসি ফুটাতে। তাদের সাথে একটু সময় দিয়ে তাদের জীবন এর কষ্টে ভড়া গল্প টা জানতে। তা একটু ভাগাভাগি করতে।
চাইলেই সম্ভব
আসলে এটাই শিক্ষা ছোট বেলা থেকে দান ও সাহায্য করা দেখলে বড় হয়েও তার মধ্যে এমন গুনাবলি থাকে। মন মানসিকতা থাকে। একটা সময় নিজ উদ্যোগে পাশে দাঁড়াবে অসহায় মানুষ গুলোর। শিশুরা ছোট থেকে যা দেখে বা যা আপনি করাবেন ঠিক বড় হয়ে তাই করবে যা আপনি শিখিয়েছেন। এটাই তো মানবতা। এটাই তো আমাদের কামনা। আমরাও চাই প্রতি টি স্তর এর মানুষ অন্য আরেক জন মানুষ এর পাশে দাড়াক সাহায্য হাত নিয়ে।
এ ভাবেই জয় হয় মানবতার আর পরাজিত হয় অনাদর, ঘৃণা আর হিংসা।
আসুন পাশে থাকি
আসুন না সবাই মিলে নিজ নিজ স্থান থেকে সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ও শিশু কিশোর গুলোর পাশে থাকি। একটু নিজেদের খাবার বা যে কোন জিনিস তাদের সাথে ভাগ করি। আমাদের মাধ্যমে না হোক আপনার আশে পাশের মানুষ গুলোর জন্যে নিজের থেকে একটু ভাগ দিন। হোক সেটা খাবার, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা বা অন্য কোন কিছু দিয়ে। ভালো থাকবেন সবাই। আর দু’আ করবেন আমাদের জন্য।
Leave a Reply