কুরআনের পাখি গুলো

খুব ভোরে ঘুম থেকে এই পাখিরা উঠে ফজরের নামাজ পড়ে কোরআন তেলাওয়াত করা শুরু করে। তার পর সবার জন্য দু’আ করে। তার পর তাদের প্রতিদিনের পড়াশোনা শুরু করে। পড়া লেখার পাশা পাশি প্রতিদিন তাদের কে নিয়ে মাশয়ারা করা হয়। তাদের পড়া লেখার অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। কারো মা নেউ আবার কারো বাবা আবার কেউ কেউ দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছে। তাদের নিয়ে ভাবার মানুষ একটু কমই আছে। তাই তো মাদ্রাসার কোরআন এর পাখি গুলোর জন্য আমাদের আয়োজন থাকে প্রতি সাপ্তাহেই। অনেক কার্যক্রমের মাঝে আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয় না। মহান সৃষ্টিকর্তা নিশ্চিত ভাবে এর উত্তম প্রতিদান সকলেই দান করবেন। আমরা শুরু করেছে বহু আগেই এখন আপনাদের অপেক্ষায় রইলাম।

এক অসহায় মানুষের কথা

আম্মু আমি তো ভিতরে বসতে পারমু না, হুইলচেয়ার ছাইড়া উঠতেই পারি না। এক পায়ে ভর দিয়া চলা লাগে। আমারে বাহিরেই একটু খাওন দাও, আমি এখানেই খাই। অনেক ক্ষিধা লাগছেরে মা। আর সহ্য হয় না। এই রোইদ বৃষ্টিতে সারা দিন ঘুইরা এখনো একটু খাওন ও জুটে নাই আর পারি না। কাম যে করমু সেই পথ ও নাই। হুইল চেয়ার ছাড়া চলতেই পাড়ি না। আল্লাহ ছাড়া এই দুনিয়াতে কারো উপরে ভরসা নাই।

তিনি একটা না একটা ব্যবস্থা করেই দেন। ক্ষিধা লাগলে কাউরে না কাউরে পাঠাইয়া দেন। তোমারা আইছো আমার লাইগা আমি অনেক খুশি। আল্লাহ তোমাগো ভালো করুক। এভাবে তার কথা গুলো শুনে আমরাও চুপ করে বসে রইলাম না। উপরে ছাতা দিয়েই তার খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। পেট ভড়ে আহার করেন তিনি আর তৃপ্তি পায় আমাদের মন। অনেক ভালো লাগে এমন সেবা গুলো দিতে পেরে। যার সম্পুর্ণ কৃতিত্ব আপনাদেরই।

আমাদের বিদ্যাপাঠ

ইনশা আল্লাহ। আর কয়েক দিনের মধ্যে চালু হবে আমাদের আরেকটি শাখা। যেখানে পড়া-লেখা করবে সুবিধা বঞ্চিত শিশু-কিশোররা। শুধু তাই নয় এবার কোচিংও নিতে পাড়বে এই শিশু-কিশোররা। মূলত কিছু কিছু পরিবার অনেক কষ্টে সংসার চালিয়ে বাকি আয় দিয়ে ছেলে মেয়ে কে লেখা পড়া শিখান কিন্তু টিউশনের বাড়তি ব্যয় বহন করতে পারেন না। এবার আমরা নিয়ে এসেছি সেই সুযোগ টুকুও। সুবিধা বঞ্চিত পরিবারের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য এখানে রেখেছি কোচিং করার সুযোগ। নেয় কোন বেতন। বরং তাদের পড়া-লেখার অগ্রগতি ভালো হলে আপনাদের সহযোগীতায় তাদের পরিবার পাবে সাপ্তাহিক বাজার সহ নানা সেবা।

দু’আ ও ভালোবাসা

দু’আ করবেন আমাদের জন্য। যে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে পারি সকল বঞ্চিত শিশু কিশোরদের কাছে। আমরা চাই তাড়াও অন্য সকল ছেলে মেয়েদের মত বড় হয়ে দেশ ও দশের ভালোর জন্য কাজ করুক। নিজের সম্মান ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করুক। যেন ছোট বেলার মত বড় হয়েও তাদের জীবন না হয় দুর্বিষহ, কষ্টে জোড় জড়িত। সকলের প্রতি সম্মান শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইলো।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *