ঘরের মেঝেটাও কাঠের তৈরি। খালের উপরে বাঁশ কাঠ দিয়ে গড়া বস্তির একটি ছোট্ট ঘরে থাকেন । জীবনের শেষ বয়সে এসে কত কষ্ট করতে হচ্ছে। ছেলে সন্তান নেই বলে জীবনের শেষ সময়টাতেও কাটছে নানা কষ্ট এ। প্রতি টি দিনই তার কাছে এক এক টি পরিক্ষা। বয়সের ভাড়ে গুজো হয়ে গেছে শরীর। কাজ করার মত সামর্থ্য টুকু ও নেই। জীবন যুদ্ধে এক মায়ের কথা গুলো বলছি। গত কয়েক দিন আগেই খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম তার। খুব আবদার করে বললেন, মা’গো শেষ কবে মাছ খাইছি মনে নাই। খুব মাছ খাইতে ইচ্ছে করে। আমাদের সাপ্তাহিক বাজার দেখে অভাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন। বললে লাগলেন, এই বাজার আমার? এই মাছ আমার? আলহামদুলিল্লাহ।
প্রতিবন্ধী মেয়ে
এক দিকে খাবার রান্না হয়। অন্য দিকে প্যাকেট করে ঘরে ঘরে তা পৌঁছে দেওয়া হয়। দরিদ্র মা তার প্রতিবন্ধী মেয়ে কে নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। স্বামী নেই। প্রতিবন্ধী মেয়ে কে নিয়ে খুব কষ্টে কাটছে তার দিন। মেয়ে প্রতিবন্ধী বলে তাকে রেখে কোথাও কাজও করতে পারেন না। কিন্তু ক্ষুধার জ্বালায় দিন কাটে অনাহারে। লজ্জায় মানুষের কাছে হাতও পাতেন না। খবর পেয়ে ছুটে যাই আমরা। তুলে দেই তাদের হাতে আমাদের রান্না করা খাবার। দূর দূরান্তে এমন অসংখ্য পরিবার রয়েছে যারা ক্ষুধার্ত থাকবে কিন্তু কারও কাছে বলবে না।
স্মার্ট ছেলে
দুটি ছবির মধ্যে কত টা পার্থক্য। ভাবলেই অবাক লাগে। আসলে আমরা যে ভাবে থাকবো, আমাদের পরিবেশটা যেমন হবে আমাদের কে ঠিক তেমন লাগবে। এমন শিশু-কিশোররাও একটু ভালো থাকার আর ভালো পরিবেশে বাঁচার আশা রাখে। রাস্তায় বোতল কুড়াচ্ছিলো। আমাদের খাবারের স্থানে এসে বললো, ভাইয়া খাওন তো নাই তার সাথে আমাগো তো জামা কাপড়ও নাই। মাঝে মধ্যে সন্ধ্যায় ক্ষিধা লাগে তাও খাইতে পাড়ি না। দেখুন শুধু একটু পরিবর্তন করেছি তাও তাদের পড়নের জামা কাপড়। তাতেই একেক জননে বিত্তবানদের চাইতে কম মনে হচ্ছে না।
অনুদান
এ ভাবেই দূর দূরান্তে ছুটে গিয়ে সঠিক সুবিধা বঞ্চিত মানুষ গুলো কে খুঁজে বের করি আমরা। এমন মানুষ গুলোকে খুজে খুজে তালিকা করে তাদের দড়জায় পৌঁছে দিচ্ছি আপনাদের অনুদান। কৃতজ্ঞতা রইলো আপনাদের প্রতি।
Leave a Reply