নেশা নাকি ক্ষুধা

সবাই খালি কয় নেশা করি। দেখলেই তাড়াইয়া দেয় গালা গালি করে, চোর কয়। কয় তোরে দেখলেই মনে হয় তুই চোর, নেশা খাস। আমাগো চেহারায় কি লেখা আছে যে আমরা নেশাখোর? আমরা চোর? না খাইয়া থাকলে তো এমন দেখাইবোই। আর আল্লাহ বানাইছে আমি কি করমু।খাওন দেওয়ার বেলায় কেউ নাই। নিজে যে কাম কইরা খামু তাও কাজে নেয় না। তা হলে আমরা খামু কি? ক্ষিধার জ্বালা সহ্যও হয় না। তাই চিন্তা করছি নেশাই খামু। ক্ষিধাও লাগবো না, সারা দিন ঘুমামু। এ ভাবেই কথা গুলো বলছিলো সালমা। আমরা কি সত্যই তাদের মত শিশু-কিশোরদের অবহেলা করছি? আমরাই কি তাদের নেশাখোর বা চোর বানাচ্ছি। নিজের বিবেক কে প্রশ্ন করুন। আসুন না একবার অন্তত অবহেলা না দেখিয়ে একটু সহানুভূতি দেখাই।

কষ্ট গুলো চাপা থাকে
বাবা’রে চাইল ডাইলের গাড়ি দেইখা লাইনে দাড়াইছিলাম। অনেক বড় লম্বা লাইন। রোইদে দাড়াইয়া থাকতে থাকতে মাথা টা ঘুরান মারসে। ক্ষিধার জ্বালা আর সহ্য হইতাসে না। তাই রাস্তার পাশে বইয়া আছিলাম। অনেক ক্ষিধা লাগছে। একটু ভাত খামু। আমাদের নির্ধারিত হোটেল এর সামনে বসে এ ভাবেই কথা গুলো বলছিলেন এই সুবিধা বঞ্চিত মানুষটি। আমরা বললাম খালা একটু মুরগির মাংস দিয়ে ভাত খান। হাসি মুখে খেতে বসলো আর বললো বাবা অনেক দিন পর একটু মাংস খাইতাছি। এই সকল মানুষ গুলোর জন্য কিছু করাটাই তো আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। কৃতজ্ঞতা আপনাদের প্রতি। এই সকল মহৎ কাজে সহযোগিতা করার জন্য।

খাবারের অভাব
খালা কিছু খাইছেন? ওই খানে খাবার দিচ্ছে খাবেন? সারা দিন হাটছিরে মা, আর পারি না। লেংরাইয়া লেংরাইয়া আর কত হাটা যায়। একটু খাওনও কেউ দিলো না। তাই চুপ কইরা বইসা আছি। আর হাটার শক্তি নাই। স্বামী নাই, বাসায় একটা ছোট মাইয়া আছে, একটু খাওন দিয়া দিলে খুব ভালো হইতো মাইয়াডারে নিয়া এক সাথে খামু। সন্তানের জন্য মায়ের কতটাই না ভালবাসা। নিজে না খেয়ে আগে সন্তারের কথা ভাবেন। আর সেই সন্তানেরাই বড় হয়ে মা’কে দূরে সরিয়ে দেয়। তার কথা মত আমরা তাকে প্যাকেটে করে খাবার তুলে দেই তার হাতে।

আপনারদের প্রতি
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইলো আপনাদের প্রতি

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *